শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

শিরোনাম

পাকিস্তান-আফগানিস্তান আলোচনায় অচলাবস্থা

শনিবার, নভেম্বর ৮, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

তুরস্কে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ পাকিস্তান–আফগানিস্তান বৈঠকে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল। সূত্রগুলোর ভাষ্যমতে, চলমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সর্বোচ্চ ধৈর্য প্রদর্শন করেছে।

এদিকে আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে কাতার ও তুরস্ক কর্তৃপক্ষ ঘনিষ্ঠভাবে অবহিত আছে। পাকিস্তানি নীতিনির্ধারক মহলের পরামর্শের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, পাকিস্তান তার নীতিগত অবস্থানে অটল রয়েছে। আফগান ভূখণ্ড থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাস দমনের দায়ভার আফগানিস্তানেরই বহন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের দোহা চুক্তির অধীনে আফগান তালেবান এখনো পর্যন্ত তাদের আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে।

আতাউল্লাহ জানান, পাকিস্তান-আফগান জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব বজায় রেখেছে এবং তাদের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ কামনা করে। তবে আফগান তালেবান সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না, যা আফগান জনগণ বা প্রতিবেশী দেশের স্বার্থবিরোধী।

এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ইসলামাবাদ চায় পাকিস্তান–আফগানিস্তান আলোচনা মৌখিক নয়, বরং লিখিত চুক্তির মাধ্যমে শেষ হোক।

শুক্রবার সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সরকার চায় আলোচনার সব বিষয় স্বচ্ছভাবে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হোক। এতে কোনো লঙ্ঘন ঘটলে কাতার ও তুরস্ক গ্যারান্টর হিসেবে ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান কারও নির্দেশে নয়, বরং নিজস্ব সিদ্ধান্তে আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করছে। এই আলোচনা জরুরি, কারণ শান্তি পুরো অঞ্চলের জন্য অপরিহার্য।

খাজা আসিফ বলেন, আমরা অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বাণিজ্য চাই। শান্তি ও বাণিজ্য এই অঞ্চলের টিকে থাকার মূল উপাদান, এবং আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। যাঁরা গ্যারান্টি দিচ্ছেন, তাদের উচিত তা লিখিতভাবে দেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে আমরা পরিষ্কারভাবে এগোতে পারি।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন