বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

শিরোনাম

পেকুয়া টৈটং মসজিদ কমিটি দখলে নিতে বলি বানালেন ইমামকে!

শনিবার, জানুয়ারী ৮, ২০২২

প্রিন্ট করুন
পেকুয়া টৈটং মসজিদ কমিটি দখলে নিতে বলি বানালেন ইমামকে 1

পেকুয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের পেকুয়ায় মসজিদের কমিটি দখলে নিতে  ইমাম আব্দুল কায়ুমকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে একটি গ্রুপ। বর্তমান মসজিদ পরিচালনা  কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, হাজ্বী জামাল হোছাইন, কোষাধ্যক্ষ আবদুস সালামদের কমিটি থেকে সরাতে এই পরিকল্পনা বলে জানা যায়। এই পরিকল্পনায় সরাসরি জড়িত বর্তমান মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি ছাবের আহমদের নেতৃত্বে,আবু তালেব, জাহেদুল ইসলাম,নুরুল ইসলাম, বজল আহমদের একটি সিন্ডিকেট। 
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ছনখোলার জুম মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। 
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন,প্রতি জুমাবার মসজিদ পরিস্কার করার জন্য  পরিস্কার কারীকে কমিটির পক্ষ থেকে ১০০টাকা করে হাদিয়া হিসাবে দেওয়া হয়। ওই দিন সকালে ইমাম আব্দুল কায়ুম মসজিদ পরিস্কার করে ছিলেন। ঠিক প্রতি সাপ্তাহের ন্যায় জুমার নামাজের পর ওই টাকা কমিটির পক্ষ থেকে ইমামকে দিতে গেলে, ইমাম কমিটির লোকজনকে গালাগালি করতে থাকে। একপর্যায়ে আব্দুল কায়ুম কমিটির সাধারণ সম্পাদক  আব্দুস সালামকে শার্টের  কলার ধরে টানাটানি করে এসময় দুই পক্ষে ধাক্কাধাক্কি হয়।কিন্তু সন্ধ্যার দিকে ফেসবুকে দেখতে পাই” জুমার নামজে মাদকের বিরুদ্ধে আলোচনা করায় ইমামকে জুতা পেটা করলেন মাদক আসক্তরা। এ ঘটনা ঘটেছে এক রকম কিন্তু হুজুর ফেসবুকে বলতেছে অন্যরকম। এখানে মসজিদের কমিটি দখলে নেওয়ার জন্য একটি গ্রুপ ওঠে বসে লেগেছে। তাঁদের ইন্ধনে এটা হচ্ছে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা হলেন, ছনখেলার জুম এলাকার মৃত হাবিব উল্লাহ’র ছেলে  ও অত্র মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দু ছালাম ,একই এলাকার মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে ও অত্র মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ আব্দু ছালাম ও মৃত রশিদ আহমদের ছেলে জামাল  হোসেন। 
বর্তমান মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন,”  আমি জীবনে মাদক সেবন করিনি, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। মসজিদের সাথে আমার সম্পর্ক,  নিয়মিত মসজিদে নামাজ আদায় করি বলে মুসল্লিরা ভোট দিয়ে সেক্রেটারি নির্বাচিত করেছে। এই বয়সে মাদক সেবনের কোন সুযোগ নাই।বাস্তব ঘটার সাথে ফেসবুকে হুজুর যে ঘটনা বলেছে। এটার  কোন মিল নাই। একটা পক্ষ ইমামকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতেছে। 
জামাল হোছাইন বলেছেন,”আমার বয়স ৬৫ বছর হয়েছে, জীবনে ২০ বারের অধিক ওমরা ও হজ্ব করেছি। মাদকের সাথে  জড়িত থাকার কোন প্রশ্নই ওঠেনা। মৌলভী কায়ুম দুষ্কৃতকারীদের এজেন্ট হয়ে  মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছে। এটা খুবই ঘৃণিত কাজ।” 
কোষাধ্যক্ষ আবদুস সালাম বলেন,”কমিটির সহ সভাপতি ছাবের আহমদ ,আবু তালেব, জাহেদুল ইসলাম,নুরুল ইসলাম, বজল আহমদের নীল নকশা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে।মসজিদ দখলে নিয়ে লুটপাটের মিশনে মুখ পাত্র হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে মৌলভী কায়ুম ।”
এই বিষয়ে পেকুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুহাম্মদ আলী বলেন,”নিরপরাধ ব্যক্তিদের মাদকসেবী আখ্যা দিয়ে হয়রানি করার কোনো সুযোগ নেই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করা হবে।”

জয়নাল/আইআই/সিএন

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন