বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পোশাক শিল্পের কনটেইনার-কার্গো জটে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে বিঘ্নের শঙ্কা

সোমবার, জুলাই ১৯, ২০২১

প্রিন্ট করুন
পোশাক শিল্পের কনটেইনার কার্গো জটে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে বিঘ্নের শঙ্কা 1
পোশাক শিল্পের কনটেইনার কার্গো জটে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে বিঘ্নের শঙ্কা 1

মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম: ঈদ উল আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে পোশাক শিল্পের কাঁচামালবাহী কনটেইনার ও কার্গো আগের চেয়ে অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে অনুপাতে আমদানিকারক ও রপ্তানীকারকেরা এসব কনটেইনার ও কার্গো ডেলিভারী নিচ্ছেন না। এর ফলে অপারেশনাল কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। উঠানামা (হ্যান্ডলিং) ও রপ্তানী কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ সব কনটেইনার-কার্গো দ্রুতডেলিভারী নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করে চবক। এ জন্য পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএএবং বিকেএমইএ এর দ্বারস্থ হয়েছে চবক।

জানা যায়, ঈদ উল আযহার আগে ও পরে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে রক্ষিত বিভিন্ন আমদানিকারক কর্তৃক আমদানিকৃত এফসিএল/এলসিএল কনটেইনার ও কার্গো এবং রপ্তানী কনটেইনারের পরিমাণ আগের তুলানায় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে ডেলিভারী হচ্ছে কম।  

চবক বলছে, ‘কনটেইনার ও কার্গো দ্রুত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা না হলে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত কনটেইনার জট সৃষ্টি হয়ে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটবে।’

এ পরিস্থিতিতে ঈদ উল আযহার আগে ও পরে বিভিন্ন আমদানিকারক কর্তৃক আনীত পোশাক শিল্পের কাঁচামালের এফসিএল কনটেইনার/কার্গো সপ্তাহের অন্য দিনের মত শুক্রবার, শনিবার ও রোববার দ্রুত ডেলিভারী নেওয়ার জন্য বিজিএমইএ এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং বিকেএমইএ এর সহ সভাপতি গাওহার সিরাজ জামিলকে চিঠি দিয়েছে চবক।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) চবকের টার্মিনাল ম্যানেজার কর্তৃক পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘শুক্রবার, শনিবার ও রোববারসহ বিভিন্ন বন্ধের দিনে এফসিএল/এলসিএল পণ্য কম ডেলিভারী হচ্ছে। এসব এফসিএল/এলসিএল কনটেইনার ও কার্গো বন্দর থেকে ডেলিভারী নেয়ার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। দেশে পণ্যের সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখাসহ চট্টগ্রাম বন্দরে আগত কনটেইনারবাহী জাহাজ থেকে কনটেইনার লোডিং-আনলোডিং এবং রপ্তানী কার্যক্রম স্বাভাবিকরাখার স্বার্থে ঈদের বন্ধের আগে ও পরে আমদানিকৃত পোশাক শিল্পের কাঁচামালগুলো চট্টগ্রাম বন্দর হতে দ্রুত খালাস গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ সময়ে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এর আমদানিকারকদের ওয়্যারহাউস/গুদাম/ফ্যাক্টরিগুলো খোলা রেখে এফসিএল/এলসিএল পণ্য ডেলিভারী গ্রহণ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা খুব জরুরী। অন্যথায়, আমদানিকৃত এলসিএল কার্গোর কনটেইনারগুলো আনস্টাফিংকরা দূরুহ হয়ে পড়বে।’

চিঠিতে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উল আযহার আগে ও পরে পণ্যের সাপ্লাইচেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানীর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সপ্তাহের অন্য দিনের মত শুক্রবার, শনিবার, রোববার এবং সরকারি বন্ধের দিনগুলোতে সাত দিন ২৪ঘণ্টা পোশাক শিল্পের কাঁচামালবাহী এফসিএল/এলসিএল কনটেইনার ও কার্গো ডেলিভারী নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ নিয়ে চবকের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আমদানির চেয়ে ডেলিভারী কম হলে কনটেইনার জমে যায়। তাই সংশ্লিষ্টদের বলেছি, ‘মালামালগুলো দ্রুত ডেলিভারী নেয়ার জন্য।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিকেএমইএ এর সিনিয়র যুগ্ম সচিব মো. আলতাফ উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কোন নির্দেশনা আসলে তা আমরা বিকেএমইএ এর সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেই; তারা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিজিএমইএ এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বন্দরে মাল জমা রাখি না। আমরা চাই যে, আজকে মাল আসলে, আজকেই ডেলিভারী নিতে। কিন্তু কাস্টম ও বন্ডের ফরমালিটির কারণে মাল ডেলিভারী নিতে দেরি হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের চিঠির বিষয়ে আমরা কাস্টম ও বন্ড কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে, উনাদের সহযোগিতা ছাড়া আমাদের মাল ক্লিয়ার করতে দেরি হচ্ছে।’

চবক জানিয়েছে, ‘ঈদ উল আযহার দিন ২১ জুলাই বুধবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ক্লোজড হলিডে পালিত হবে। ঈদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বন্দরের অপারেশনালয় কার্যক্রম পুরোদমে স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হবে।’

Views: 0

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন