ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদাহ শহীদ কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার বীরত্বগাথা স্মরণ করেছেন। বলেছেন, ‘তার ভাইয়েরা, সন্তানেরা ও বিশ্বজুড়ে অনুসারীরা তার পথেই এগোচ্ছে এবং দখলদার শক্তির ওপর কৌশলগত আঘাত হানছে।’
রোববার (১৩ জুলাই) নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে আবু উবাইদাহ ঘোষণা করেন, ‘মোহাম্মদ দেইফের রেখে যাওয়া উত্তরাধিকার যুদ্ধাপরাধী ও লুটেরাদের জন্য এক দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে’।
দখলদাররা কখনো শান্তিতে থাকতে পারবে না- এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র বলেন, ‘যখন দেইফ ও তার সহযোদ্ধারা তাদের রক্ত দিয়ে ফিলিস্তিন মুক্তির শেষ অধ্যায় লিখে গেছেন, তখন দখলদাররা এই ভূমিতে আর কখনো শান্তিতে বাস করতে পারবে না’।
বিবৃতিতে আবু উবাইদাহ আরও বলেন, ‘মোহাম্মদ দেইফ তার সহযোদ্ধাদের সঙ্গে আল-আকসা বন্যা (Al-Aqsa Flood) অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে শত্রুকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর আঘাত হেনেছেন। এই আঘাত দখলদার শক্তির প্রতিরোধ ক্ষমতাকে চিরতরে ভেঙে দেয়, সমগ্র মুসলিম জাতিকে ফিলিস্তিন ইস্যুর পেছনে একত্রিত করে এবং ফিলিস্তিন প্রশ্নকে আবারও সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরিয়ে আনে’।
তার ভাষায়, ‘দশকের পর দশক ধরে জিহাদ, অনুসরণ, আত্মত্যাগ, নেতৃত্ব ও মেধা—সবশেষে শাহাদাতে গিয়ে পৌঁছেছে। আমাদের মহান কমান্ডার এখন শহীদদের সারিতে; তার ও অন্যান্য নেতাদের রক্ত আজ আমাদের জাতির সন্তানদের রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে—যারা আল-আকসা ও ফিলিস্তিনের জন্য তাদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছে’।
চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি আল-কাসসাম ব্রিগেড ঘোষণা করে যে, তাদের চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ দেইফ শহীদ হয়েছেন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারও শহীদ হন।
কাসসাম ব্রিগেড জানায়, তারা কেউ কেউ শহীদ হন কমান্ড সেন্টারে, কেউ সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর মুখোমুখি হয়ে, আবার কেউ শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান পরিদর্শনের সময়। সূত্র: আল-মায়াদিন
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন