ইফতেখার ইসলাম: দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি। এদেশের লোকালয়ে প্রায়ই দোয়েল দেখা যায়৷ তবে কালের বিবর্তনে তার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এছাড়া ইট পাথরে ঘেরা শহরের বুকে দোয়েলের চিহ্ন পাওয়া বেশ কঠিন বিষয়। আর এই দোয়েলকে সকলের কাছে জীবত করে রাখতে ফেনী শহরের প্রাণকেন্দ্র ট্রাংক রোডে তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ‘দোয়েল পাখি ভাস্কর্য’। জাতীয় পাখির নামেই ব্যস্ততম এ স্থানের নামকরণ হয় ‘দোয়েল চত্বর’।
পৌরসভা সূত্র জানায়, শহীদ মিনার সংলগ্ন ট্রাংক রোডে পুরোনো দোয়েলের উপর একটি বিলবোর্ড টাঙ্গানো ছিল। এছাড়া ভাস্কর্যে দোয়েলের প্রতিকৃতিও যথাযথ না হওয়ায় জাতীয় পাখির অবমাননা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরবর্তীর্তে পৌরসভা বিল বোর্ডটি সরিয়ে নেয়। নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী পৌর মেয়রের দায়িত্বগ্রহণের পর এবার দোয়েল পাখি পুন:নির্মাণ করা হয়। ১২ আর ৯ ফুট বিশিষ্ট জায়গার উপর ৭০ ফুট উঁচু একটি কৃত্তিম গাছ নির্মাণ করা হয়। ওই গাছের ডালের উপর দুটি ও নিচে একটি দোয়েল পাখি বসানো হয়েছে।
শহরের ব্যস্ততম এলাকাজুড়ে এমন প্রকৃতির ছোঁয়া নজর কাড়ছে সকলের। তাইতো প্রতিদিন এই চত্বরে জমে দর্শনার্থীর ঢল। কেউবা নিজের চোখে দেখে, কেউবা ছবি তুলে উপভোগ করছেন এর সৌন্দর্য। এতদিকে এটি যেমন আমাদের জাতীয় পাখির চিহ্ন বহন করছে ঠিক তেমনি শহরের সৌন্দর্য ও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সামিয়া তরান্নুম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, দোয়েলের ভাস্কর্যে এই চত্বর তৈরি করায় শহরের সৌন্দর্য আরো বেড়েছে। চলার পথে পাখির দৃশ্য মনে সজীবতা জাগায়।
নাফিজ কামাল নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি। আমাদের এটি রক্ষা করতে হবে। এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে দোয়েল সবাে কাছে আরো পরিচিত হলো।
পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, যেসব পাখির ডাক ও সুর মানুষকে মুগ্ধ করত, সেই পাখিই হারিয়ে যেতে বসেছে। বিশেষ করে দোয়েল পাখির এখন আর দেখাই মিলে না। এটি দৃশ্যমান হলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অন্তত জাতীয় পাখির সঙ্গে পরিচিতি হওয়ার সুযোগ পাবে।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে শহরের ট্রাংক রোডে ‘আল্লাহু’ লেখা, আলোকসজ্জা, দিঘিরপাড়ের শোভাবর্ধন সকলের নজর কেড়েছে।
আইআই/সিএন
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন