লাইফস্টাইল ডেস্ক: বইবিলাসী মন আর তা গুছিয়ে রাখার ঢং মানুষের রুচির বহিঃপ্রকাশ। বই শুধু মানুষের মনকে আলোকিত করে না, বাড়িয়ে তোলে ঘরের সৌন্দর্য ও অভিজাত্য। তাই ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে প্রাণের বইমেলায় ডুব দিয়ে কিনে নিতে পারেন পছন্দের কিছু বই।
অনেকে মনে করেন, বই কেনা মানেই কিছু টাকার অপচয়। আবার বাড়িতে বই রাখার বাড়তি ঝামলো তো আছেই। কি তাইতো? আপনার দৃষ্টিভঙ্গি যদি এমন হয় তবে জেনে রাখুন, বই দিয়েই কিন্তু ঘরের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলা সম্ভব।
মনের মতো ঘর সাজাতে বাড়ির প্রতিটি রুমে কত কিছুই-না ব্যবহার করি আমরা। সাধারণত প্রতিটি বাড়িকেই সুন্দর করে সাজাতে আমরা ব্যবহার করি দৃষ্টিনন্দন লাইট, নানা ধরনের ফুল, আর্টিফিশিয়াল গাছ, পেইন্টিং আরও কত কী? কিন্তু বাড়ির এই ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন বইও।
যারা বেশি বই পড়েন, তাদেরকে সবাই একটু আলাদাভাবে বিচার করে থাকেন। জ্ঞানী, গুণী, বুদ্ধিমানের তালিকায় তাদের নামই রাখা হয় প্রথম সারিতে। বইয়ের ধরন দেখেই বোঝা যায় ব্যক্তির মেধার দৌড় ও ব্যক্তিত্ব।
তাই বাড়িকে বই দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন। আর এর আগে মাথায় রাখুন ভালো ভালো বইয়ের নামের তালিকা। এ ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি লেখকদের লেখাকে প্রাধান্য দিতে পারেন।
ঘর সাজাতে দেয়ালে বইকে তুলে ধরতে পারেন। এক্ষেত্রে বইগুলোকে খুলে দেয়ালে টাঙিয়ে দিন। পুরো দেয়ালে বই লাগানো হয়ে গেলে কালো রঙের মার্কার দিয়ে তাতে আঁকতে পারেন লাইন ড্র দিয়ে কোনো সুন্দর ছবি।
বইয়ের প্রচলন ঠিক কখন হয়েছিল, সে সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায় ইতিহাস থেকে। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১২৫০ সালে মিসরে আর ১৪৫০ সালে মধ্যে ইউরোপের কয়েকটি স্থানে অক্ষর বসিয়ে বই ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছিল। এশিয়ার এদিকটায় তখন গাছের বাকল, কলাপাতা বা তালপাতায় হস্তাক্ষরে পুথি লেখা হতো। তবে সমসাময়িক ১৪৫৫ সালে গুটেনবার্গ বাইবেলটিকেই প্রথম ছাপানো বইয়ের মর্যাদা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
তাই দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরে এমন কিছু বই বইয়ের আলমারিতে সাজিয়ে রাখতে পারেন। সাজানো বইয়ের যত্নে নিয়মিত বইয়ের ধুলাবালি পরিষ্কার করুন। র্যাকে রাখা বইয়ের ক্ষেত্রে কর্নারে রাখতে পারেন নেপথলিন আর নিমপাতা। এতে আপনার পছন্দের বইগুলো পোকার আক্রমণ থেকে রেহাই পাবে।
মেধা আর আত্মার পরিশুদ্ধিতে বইয়ের কদর থাকলেও বর্তমানে ইন্টেরিয়র ডিজাইনেও বেড়েছে এর ব্যবহার। বইকে দৃষ্টিনন্দনভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন আপনার বেডরুমে বা ড্রয়িংরুমে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন বইয়ের র্যাকের ব্যবহার ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে পারে আরও কয়েক গুণ।
সিএন/আলী
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন