শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

বর্ণিল নানা আয়োজনের তিন দিনের পটিয়া উৎসব শুরু

মঙ্গলবার, মার্চ ২২, ২০২২

প্রিন্ট করুন

পটিয়া, চট্টগ্রাম: বর্ণিল নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বহুল প্রতিক্ষিত তিন দিন ব্যাপী পটিয়া উৎসব মঙ্গলবার (২২ মার্চ) শুরু হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে   স্বরাষ্ট্ রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী।

ঐতিহ্যবাহী পটিয়ার শত বর্ষের বিভিন্ন পেশায় অবদান কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ ৭৮ জনকে পটিয়ার রত্ন ঘোষণা করে স্বর্ণ পদক ও স্বর্ণ সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। পটিয়া ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে তিন দিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, সুধীজন অনুষ্ঠানে জাঁকজমকভাবে অংশ নেন। ৩২ জনকে মরনোত্তর তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পটিয়া রত্ন স্বর্ণ স্বারক তুলে দেয়া হয়।

এ সময় আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সব পেশার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা স্বীকৃতি দিয়ে পটিয়াবাসীর এ আয়োজন ও উপস্থিতি, সারা দেশের মানুষকে উৎসাহিত করবে। এ ধরনের উৎসাহমূলক অনুষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সঠিক ইতিহাস বিশেষ করে সুনির্দিষ্ট এলাকার কৃতিজনদের সম্মাননা নতুন প্রজন্ম প্রভাবিত হবে। দেশ  ও জাতি গঠনে তাদের অবদানের স্বীকৃতি পরিবারগুলোকে যেমন গর্বিত করেছে, তেমনি আমাদের নাগরিক দায়িত্বও পালন হয়েছে।’

তিনি এ জন্য উৎসবের আদলে কৃতিজনদের সম্মননা অনুষ্ঠান আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

পটিয়া উৎসব উৎযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও পটিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বক্তব্য দেন উৎসব কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবি ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ, উৎসব কমিটির সচিব মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম শামসুজ্জামান, পটিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।

উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ছালেহ মো. তানভীর, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিজন চক্রবর্ত্তী, পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল।

অতিথি সম্মাননার তালিকায় ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রাখা দেশের বরেণ্যজনদের নাম দেখে অভিভুত হয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আরো বলেন, ‘পটিয়ার ইতিহাস অনেক গৌরবের। এখানে অনেক কৃতিজনের জন্মস্থান। তাদের স্মাননা এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পটিয়ার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। কারণ, সারা দেশে উন্নয়নের রোল মডেলে পটিয়াকে বাদ দেয়া যায় না। পটিয়াবাসীর সকলের সহযোগীতা থাকলে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সামনের দিনগুলোতে বর্তমান নেতৃত্বেই কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব।’

তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

বিকালে দ্বিতীয় পর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আকাশে বর্ণিল আলোকজ্জল দৃষ্টিনন্দন ৫০টি আতশবাজি উৎক্ষেপণ করা হয়। বিভিন্ন স্তরের মানুষ ও পটিয়ার নগরবাসী এ আতশবাজি উৎক্ষেপণ উপভোগ করেন।

বুধবার (২৩ মার্চ) উৎসবের দ্বিতীয় দিনে পটিয়ার বিশিষ্ট ১১ গুনীজনকে ‘পটিয়া রত্ন’ ঘোষণা করে স্বর্ণ পদক দেয়া হবে। বিকাল তিনটায় পটিয়া হাই স্কুল মাঠে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন