সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম: আর্টিকেল নাইনটিনের আয়োজনে রেডিও অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, ‘সামাজিক পরিসরে সাংস্কৃতিক চর্চার অভাবে মোবাইল ও ইন্টারনেটের প্রতি তরুণদের আসক্তি বাড়ছে। এর ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে ওঠেছে বিদ্বেষ, সহিংসতা ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর উর্বর ক্ষেত্র। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত কমিউনিটি রেডিও সাগর গিরি ৯৯.২ এফএমে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
সব সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি, বহুত্ববাদ, অন্তর্ভুক্তি ও সহনশীলতা নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে সংলাপ আয়োজন করছে আর্টিকেল নাইনটিন। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রেডিও সাগর গিরিতে জনসচেতনামূলক অনুষ্ঠানটি করা হয়।
আলোচনায় অংশ নেন আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল, টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টি ফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নি, সীতাকুণ্ড উপজেলার সাংস্কৃতিক পরিষদের সভানেত্রী সুরাইয়া বাকের ও সীতাকুন্ড উপজেলার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য সাম্প্রদায়িকা পূজা কমিটির সদস্য দীপ্তা রায়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেডিও সাগর গিরির উপস্থাপিকা পাতা দে।
ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই সাম্প্রদায়িকতা প্রতিহত করতে হবে। দূর্নীতি, অনিয়ম, অবিচার, অগণতান্ত্রিক চর্চা বাদ দিয়ে এমন সমাজ গঠন করতে হবে যেখানে তরুণ সম্প্রদায় নির্ভয়ে সত্য বলতে পারবে।’
সম্প্রীতি বাড়াতে তিনি তরুণদের মধ্যে আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ আয়োজন ও অন্যের ধর্ম সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে জানার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
শাহনাজ মুন্নি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোন গেট কীপার নেই; এটা মাথায় রেখে দর্শক শ্রোতার উচিৎ সচেতন থেকে সংবাদের সঠিক উৎস খুঁজে বের করা।’
যাচাই বাছাইয়ের পর একটা সংবাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে ’ভুয়া খবর’ ছড়ানো বন্ধ করা সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি।
সুরাইয়া বাকের তৃণমূল পর্যায়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে বর্তমান তরুণ সমাজ। তাদেরকে সংস্কৃতি মনা করতে প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
দীপ্তা রায় বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মকে ভাইরাল হওয়ার প্রবণতা থেকে মুক্ত করতে হবে। তাদেরকে নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে।’
‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি: তরুণ সমাজের ভূমিকা’শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে আলোচকদের পাশাপাশি ফেসবুকে প্রচারিত লাইভে কমেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন দর্শক-শ্রোতারা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভুমিকা নিয়ে নানা মন্তব্য ও প্রশ্ন উত্থাপন করেন তারা।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন