সানজিদা জাহিন প্রিমা:
ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের সবচেয়ে পুরাতন সংগঠন ‘মোহনা সাংস্কৃতিক সংগঠন।’ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এর পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত সংগঠনটি ২০০৭ সালে পহেলা বৈশাখে যাত্রা শুরু করে। সম্প্রতি সংগঠনটি ইয়ং বাংলা আয়োজিত “জয় বাংলা ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড-২১” এ মনোনীত ৩১ সংগঠনের তালিকায় অবস্থান করে। এবার অ্যাওয়ার্ডের জন্য ৭৫০টির বেশি সংগঠনের আবেদন জমা পড়ে। এতে মনোনীত ৩১ টি সংগঠনের মধ্যে পাঁচটি বিভাগে ১৫টি সংগঠনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
দেশের সর্বত্র তখন অরাজকতা, ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক অবস্থাও ছিলো সংকটাপন্ন,সুষ্টু সসংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ ছিলো না।সেই সময় উদ্যোমি কিছু তরুণদের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্টিত হয় এই সংগঠন।১৫ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা মোহনা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ সংগঠন।এমসি কলেজের যে কোন ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষার্থী মোহনার সদস্য হতে পারবে। নদী যেমন মিলিত হয়ে মোহনা তৈরি করে, সেদিক থেকে সব ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের মিলিত স্থান মোহনা।আর নদীর স্রোতের মতোই আপন অববাহিকায় ছুটে চলছে সংগঠনটি।
দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে “হৃদয়ের টানে’ স্লোগানকে সাথে রেখে সাফল্যের সাথে এগিয়ে চলেছে মোহনা।
মোহনার বহুজাতিক কার্যক্রমের মধ্যে গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি, নাটক ইত্যাদি অন্যতম।
ক্যাম্পাস খোলাকালীন সময়ে মোহনার নিজস্ব কক্ষে চলে নিয়মিত মহড়া যা পথচারী শ্রোতাদের মুগ্ধ করে, চিরসবুজ ক্যাম্পাসে প্রাণের জোয়ার নিয়ে আসে।
সিলেটের বুকে অন্যতম বসন্ত উৎসব এর আয়োজন করে মোহনা।তখন এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে থাকে সাজ সাজ রব। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ও সাধারণ হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে উক্ত আয়োজনে।
ক্যাম্পাস পরিষ্কার, বৃক্ষরোপণ, বর্ষবরণ, খেলাধুলা, জাতীয় দিবস পালন সহ সকল সাংকেতিক কার্যক্রমই মোহনা নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। চিকিৎসা সেবা,শীতবস্ত্র বিতরণ খেলাধুলা রক্তদান কর্মসূচি সহ নানাবিধ কার্যক্রম করে থাকে মোহনা। এছাড়াও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে মোহনার সদস্যরা স্বর্ণপদক, রৌপ্য, ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে।
ক্যাম্পাসে সবচেয়ে বড় আলপনা করেও প্রশংসা কুড়িয়েছে মোহনা।
আগের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় কিছুদিন আগে নতুন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হয়।বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর ব্যাপকতার জন্য মোহনার কার্যক্রমও অনেকটাই স্থিমিত হয়ে আছে।তবে, সংগঠনটির জৌলুস ধরে রাখতে ভারচুয়ালি কাজ করা হচ্ছে।
বর্তমান সভাপতি ইমরান ইমন জানান, করোনা মহামারীর দুর্দিনে আমি দায়িত্ব পেয়েছি মোহনার। আশাকরি, শিগগিরই ক্যাম্পাস খুলবে এবং পূর্বের ন্যায় আবারও সকলকে নিয়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে এগিয়ে যাব। প্রিয়, মুরারিচাঁদ কলেজের আঙিনায় আবারও শোরগোল হবে। ভালোবাসা আর হৃদয়ের টানে একত্রিত হব মোহনায় আনন্দ ভাগাভাগিতে।
আরএইচ/সিএন
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন