শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

শিরোনাম

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এলিস মিয়া গান বেঁধে দেন আমেরিকানদের

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২২

প্রিন্ট করুন

বিনোদন প্রতিবেদক: এলিস মিয়া একজন কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, রেকর্ড প্রযোজক ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান ডিজে। নিউইয়র্কে তার জন্ম। বিলবোর্ড ২০০, ইলেক্ট্রনিক অ্যালবাম, ক্লাব প্লে ও ম্যাক্সি সিঙ্গলসসহ বিভিন্ন বিলবোর্ডের চার্টে তার ২২টিরও বেশি রেকর্ড রয়েছে; যা অরেঞ্জ ফ্যাক্টরি ও বিট হুস্টলার্জ দলের অংশ হিসাবে রয়েছে।

তিনি জেনিফার লোপেজ, ক্রিস্টিনা অ্যাগুইলেরা, মাইলি সাইরাস, ব্যাকস্ট্রিট বয়েজ, অ্যানি লেনক্স, রুপল, ললিটা হলোওয়ের মত বাঘা বাঘা শিল্পী ও ব্যান্ডদলের সাথে কাজ করেছেন। কখনো গান লিখে, কখনোবা সুর তৈরি করে দিয়ে। সম্প্রতি তিনি কে-পপ গ্রুপ বিটিএসের ‘ইনার চাইল্ড’ গানের জন্য কাজ করেছেন।

২০১৪ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বুটিক রেকর্ড (নতুন ধারার স্বাধীনচেতা গান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান) লেবেল বোদেগা সুপারেটি। বিখ্যাত শিল্পী জেমস নারেসের কন্যা জরিনা নারেস ছিল এর প্রথম গায়িকা। ২০১৪ সালের শেষ দিকে এলিসের সংগীত পরিচালনায় জরিনার গান ‘আই অ্যাম টু ব্লেম’ মুক্তি পায়।

এলিস মিয়া বেশ কিছু চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানের সংগীত পরিচালনায়ও যুক্ত ছিলেন। একটি যেমন ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’। তার সংগীত পরিচালনায় রুপলের ড্র্যাগ রেসও খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।

আইসক্রিম কোম্পানি ক্লন্ডিকের বিজ্ঞাপনের জন্য তিনি তৈরি করেছিলেন শ্যুগার ড্যাডিজ লিটল গার্ল। ২০১৩ সালে তিনি এবিসির নাইটলাইন প্রাইম থিম সং বুনেছিলেন কেও নোজারির সাথে মিলে।

এলিস এখন থাকেন লস অ্যাঞ্জেলসে। পপ, সোউল, হিপ-হপ মিলিয়ে তিনি গান রচনা করেন। রুপলের স্লে বেলেস অ্যালবামের জন্য যৌথভাবে নয়টি গান লিখেছিলেন তিনি। অ্যালবামটি এন্টারটেইনমেন্ট উইকলির বেস্ট ক্রিসমাস অ্যালবামের তালিকায় উঠেছিল।

এ বিষয়ে জায়েহকিমডটকম ও অলকেপপডটকম তার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। সেখান থেকে নির্বাচিত অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-

অলকেপপ: কে পপ আর্টিস্টদের সাথে কাজ করে কেমন লাগছে?
এলিস মিয়া: অনেক পথ পেরিয়েছে পপ সংগীতের এ ধরনটি। সিউল থেকে লন্ডনে এসেছে, ফের ফিরেছে সিউলে তারপর এসেছে লস অ্যাঞ্জেলেসে। অন্তত তিনটি মহাদেশ অতিক্রম করেছে কে পপ। আমার সত্যি কাজ করে মজা লাগছে।  চিত্রশিল্পের মত ভাবলে, এটা এমন একটা ক্যানভাস, যেখানে সবাই রেখা টানতে পারছে ও মিলে মিশে একটা বড় কাজ দাঁড়াচ্ছে। ইংল্যান্ডের দল কুল কিডস আর আরকেডস আগেও বিটিএসের সাথে কাজ করেছে। তারা এলএতে আমাদের স্টুডিওতে এসেছিল, আমরা এক সাথে জ্যামিং করেছি।

জায়েহকিম: গানটি তো অরিজিনালি কোরিয়ান ভাষায়। আপনি কাজ করছেন এর ইংরেজী সংস্করণের ওপরও। কোন গোলমাল হচ্ছে কী?
এলিস মিয়া: গান আসলে প্রকাশ করে আবেগ আর অনুভূতি। কথা তার বাহনমাত্র। তাই ভাষা কোরিয়ান হলেও আবেগটা আমি ঠিকই ধরতে পারছি।

জায়েহকিম: আপনাকে কি আমরা শিগগিই কোরিয়ায় দেখতে পাব?
এলিস মিয়া: এখুনি চলে যেতে ইচ্ছে করছে আমার। আমার কয়েক জন গান লেখক বন্ধু কোরিয়ায় গিয়ে কর্মশালা করেছে, আমি সে সবের ছবি দেখেছি, আলাপ শুনেছি। আর তখন থেকেই গাট্টি তৈরি রেখেছি কোরিয়া যাওয়ার জন্য।

জায়েহকিম: পথে পথে বা বেড়াতে বেড়াতে কি গান খুঁজে পান?
এলিস মিয়া: অবশ্যই খুঁজে পাই। পথেই তো গান ছড়ানো। যে খুঁজে সে পায়। ওয়াইড আওয়েক গানটা গেয়েছিল ম্যাগি জাবো। গানটি আমি আমস্টারডাম যেতে যেতে লিখেছিলাম। তারপর ওয়াক অন ওয়াটার গানটির বেশ খানিকটা লেখা হয়েছিল প্লেনে বসেই, আমি ফিরছিলাম আমেরিকায় অথচ তার অল্প আগেই ফ্রান্সে আমি হৃদয় খুইয়ে এসেছিলাম। আমেরিকার এখানে ওখানে গাড়ি চড়ে পাড়ি দেয়া যায়, কিন্তু ফ্রান্স তো ওই সাত সমুদ্দুরের ওপারে। আমি প্লেনে বসে ভাবছিলাম কীভাবে ওই সপ্তসিন্ধু পেরুব। আর তা ভাবতেই ভাবতেই গানটি চলে আসে। ত্রিশ হাজার ফুট ওপরে প্লেনের বাথরুমে বসে ফোনে কথাগুলো রেকর্ড করে রেখেছিলাম।

জায়েহকিম: ছুটি কাটাতে পছন্দ করেন কোথায়?
এলিস মিয়া: আমস্টারডাম। নৌকায় ঘুরে বেড়াতে আর সাইকেল চালানোর জন্য শহরটা ভাল। লন্ডনও ভাল লাগে। লন্ডনের জ্যামাইকান প্যাটি কেম্পানিতে আমি যেতে পছন্দ করি। তারপর প্যারিসের কাছের একটা ছোট্ট শহর নাম ট্রয়েসও আমাকে টানে। ওখানকার অনেক ভবনই মধ্যযুগের।

জায়েহকিম: একটা ভ্রমণের কথা বলুন যেটা বাকি আছে, কিন্ত অবশ্যই করতে চান।
এলিস মিয়া: ইউরোপ থেকে ট্রেনে করে চীন যেতে চাই। হাতে অনেক সময় রাখতে চাই যেন প্রত্যেকটা স্টেশন ঘুরে ঘুরে দেখতে পারি।

সিএন/এম

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন