উত্তর আমেরিকা অফিস: প্রথমবারের মতো আমেরিকা এসে নিউইয়র্কের পর বাফেলো ও মিশিগানে সংবর্ধিত হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ২৪ অক্টোবর নিউইয়র্কের বাফেলোর আলেকজান্ডার এভিনিউতে ‘বাংলাদেশ আমেরিকান কমিউনিটি, বাফেলো’র আয়োজনে এবং ২৫ অক্টোবর মিশিগানের বাঙালি অধ্যুষিত হ্যামট্রাম্যাক শহরে এক গণ সংর্বধনা তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মিশিগানের গণসংবর্ধনায় তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে আমাদের প্রথম অঙ্গিকার হচ্ছে দেশের ভাঙাচোরা শিক্ষাব্যবস্থাকে মজবুত করা। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। যে জাতীর মেরুদন্ড ঠিক নাই সে জাতি তো মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবেনা।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ধর্ম বৈষম্য নাই। কিন্তু শ্রেণী বৈষম্য আছে। রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি। যে যখন রাজা হয়েছে, তখন সাধারণ মানুষের কিসমত ধরে টান দিয়েছে।
আগেরদিন বাফেলোর গণসংবর্ধনায় জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, প্রবাসে বাংলাদেশের যত শতাংশ নাগরিক বসবাস করেন, আমরা সংসদে তত শতাংশ প্রবাসী প্রতিনিধি নিশ্চিত করব। এই প্রতিনিধিত্ব থাকলে প্রবাসীরা দুনিয়ার যেখানেই থাকুক, তারা অনুভব করবে-আমিও বাংলাদেশ, আমরাও বাংলাদেশ। আমরা সেই বাংলাদেশ বানাতে চাই। আমরা সারা বিশ্বকে একটা কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসতে চাই। ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতকে এক জায়গায় এনে মজবুত করতে চাই।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দেশ-জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদার সঙ্গে থাকতে চাই। দুনিয়ার সবাইকে সম্মান করবো কিন্তু কাউকে প্রভু মানব না। আমাদের প্রভূ একমাত্র আল্লাহ। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক হবে। ন্যায্য পাওনা আমরা বুঝিয়ে দেব, অন্যদের কাছ থেকে বুঝে নেবো। অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, দেশটাকে ফোকলা করে ফেলা হয়েছে। লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে নষ্ট করা হয়েছে। রুগ্ন অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য সদিচ্ছা, সততা ও কঠোর পরিশ্রম থাকলে জাতিকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।



চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন