বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগ নিতে হবে

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২৭, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বাল্যবিবাহ একটি প্রথা, যা নারীদের ঘিরে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা সামাজিক মূল্যবোধ ও অসম অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশে নারীদের প্রায়ই আর্থিক বোঝা হিসাবে দেখা হয়। বিগত দিনে দেশে বাল্যবিবাহ ধীরে ধীরে কমলেও এখনো পর্যন্ত দেশের অনেক স্থানে বাল্যবিবাহ সংঘঠিত হচ্ছে। বাল্যবিবাহের জন্য সাধারণত দারিদ্র ও অশীক্ষাকে কারণ হিসেবে দেখা হলেও বিভিন্ন গবেষণার সূত্র মতে, সমাজের সার্বিক পটভূমি ও বিভাজনও এ চর্চার অন্যতম কারণ। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারি বেসরকারি সব সংস্থার নিজস্ব উদ্যোগ নিতে হবে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসার সহায়তায় ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, শিশু অধিকার ও সুরক্ষা ও জেন্ডার সমতা বিষয়ক’ এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার। চট্টগ্রাম জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের চাইল্ড প্রটেকশান ও সেইফগার্ড স্পেশালিস্ট সুমনা চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাধবী বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ওয়াহীদুল আলম, জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সাঈদ হাসান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রজেশ কুমার সাহা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিমাদ্রী থিসা, সহকারি কমিশনার ফাহমিদা আফরোজ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. সেলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাসমত জাহান, ডাক্তার খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহেদা আক্তার, ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু প্রমুখ, ইপসার বিভাগীয় সমন্বয়কারী ফারহানা ইদ্রিস, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরো প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের নীচে সব শিশুর বাল্য বিবাহ নির্মূল ও ১৫-১৮ বছরের শিশুর বাল্য বিবাহ এক তৃতীয়াংশে হ্রাস করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই সাথে২ ০৪১ সালের মধ্যে বাল্য বিবাহ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইপসা চট্টগ্রাম জেলায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় ‘কমবেটিং আর্লি ম্যরেজ ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য বাল্যবিবাহ নিরোধে জেলা বাল্যবিবাহ নিরোধ জেলা কমিটির সদস্যদের সক্রিয় করা ও গণসচেতনতা তৈরি করা।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন