শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বিএনপির তৃতীয় সারির নেতাদের মোকাবেলা করতে পারবে না আওয়ামী লীগ

শনিবার, অক্টোবর ২, ২০২১

প্রিন্ট করুন
বিএনপির তৃতীয় সারির নেতাদের মোকাবেলা করতে পারবে না আওয়ামী লীগ 1

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতেই বিএনপির লড়াই। অনেকেই বলতে চায় ইনিয়ে বিনিয়ে আমাদের (কেন্দ্রীয় নেতাদের) নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না, জেলে ভরে দেবে। জনগণকে ভোটের অধিকার দিলে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির তৃতীয় সারির নেতারা ভোট করলেও মোকাবিলা করতে পারবে না আওয়ামী লীগ।’

শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকালে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে বিলুপ্ত করে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হতে দিন, নৌকা না ধানের শীষ জনগণই সিদ্ধান্ত নিক।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে বড় করার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের কিছু করার দরকার নেই। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক, ইতিহাসে তার স্থান নির্ধারিত আছে। কেউ তাকে সেখান থেকে নামাতে পারবে না। এখন জিয়াউর রহমানের মত মুক্তিযোদ্ধাদের যারা হেয় করছে, তার কবর নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করছে, এক সময় মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বিচারের মুখোমুখী হতে পারে তারা। কেননা তারা এখন মতিউর রহমান নিজামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জনগণ যাকে মাদার অব ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্রের মা বলেছে, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবদ্দশায় যদি গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে না পারি, তাহলে বিএনপি কর্মী, নেতা হিসেবে তা বড় ব্যর্থতা হবে।’

তিনি এ জন্য মাঠের নেতাকর্মীদের সব ভেদাভেদ, পদপদবীর লোভ দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নোবেল পাওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের না ঠেকিয়ে দেশে অনুপ্রবেশের সুযোগ দিয়েছেন। রাষ্ট্রের বিপুল অংকের টাকায় লবিস্ট নিয়োগ করেছেন। এসবের হিসাব এক দিন করা হবে। এখন মহিবুল্লাহকে হত্যা করে বোঝানো হচ্ছে যে, শেখ হাসিনা না থাকলে জঙ্গীবাদের উত্থান হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা অনেক কম।’ ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের নেতারা কলকাতায় আয়েশী জীবনযাপন করেছেন বলে দাবি করেন আলাল।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করছে। ফরিদপুরের দুই তরুণ নেতার কাছেই দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। দেশে গুম, খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ। তাদের কোন জনপ্রিয়তা নেই। বিএনপিকে বলা হয় ক্যান্টনমেন্টের জন্ম নেয়া দল।’

তিনি প্রশ্ন করেন ক্যান্টনমেন্ট কি কোন ভাগাড়? আলাল জানান, বর্তমান সরকার সেনাসহ সরকারি সব দপ্তরের কর্মীদের বেতন ২০০ শতাংশের বেশি বাড়িয়েছে। এখন তাদের সবরকম ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এখন তারা কিভাবে সরকারের এত প্রিয় হয়ে উঠল?

চলমান নিউইয়র্ক/মোহাম্মদ আলী

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন