চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) তত্বাবধায়ক পরিদর্শক, সহকারী হ্যাচারি কর্মকর্তা, সহকারী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা পদসহ ফিশারিজ সংশ্লিষ্ট পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তরের নন-ক্যাডার বিধিমালা-২০২০ সংশোধন ও মাৎস্যবিজ্ঞানে ডিগ্রিধারীদের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অনুষ্ঠিত এক মানব বন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়। মানব বন্ধন কর্মসূচিতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকেরাও অংশ নেন ও শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গত ২৩ ডিসেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ অনুযায়ী বিপিএসসি কর্তৃক প্রকাশিত মৎস্য অধিদপ্তরাধীন দশম গ্রেডের ফিশারিজ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রাণিবিদ্যা ও মৎস্য ডিপ্লোমাধারীদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হলেও মাৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের আবেদনের কোন সুযোগ রাখা হয়নি। অথচ এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তত্বাবধায়ক পরিদর্শক, সহকারী হ্যাচারি কর্মকর্তা, সহকারী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা পদগুলোতে মোট ২০১টি শূন্য পদের নিয়োগে প্রাণিবিদ্যা ও মৎস্য ডিপ্লোমাধারীদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়।
তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘নিয়োগবিধি অনুযায়ী দশম গ্রেডের মোট ১১টি পদে এমন অসামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্য দিকে, নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী নবম গ্রেডের ২৫টি পদে ফিশারিজের পাশাপাশি প্রাণিবিদ্যায় গ্র্যাজুয়েটদেরও আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। অথচ দশম গ্রেডে প্রাণিবিদ্যায় গ্র্যাজুয়েটদের সুযোগ দেয়া হলেও ফিশারিজ স্নাতকদের আবেদন করার যোগ্যতা দেয়া হয়নি।
মৎস্যবিষয়ক পদ হওয়া সত্বেও মাৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের এসব পদে আবেদনের সুযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন