বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী।

মাহবুব মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. আব্দুল করিম মোল্লার ছেলে। তিনি দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনে নিজের প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুব। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা তিন ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। মাহবুব গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়।

স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর এলাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মাহাবুব। মাদক বিক্রি নিয়ে এলাকার আরেকটি গ্ৰুপের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এর জেরে আগেও কয়েকবার মাহাবুবের ওপর হামলা হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, মাদক বিক্রি নিয়ে প্রতিপক্ষ গ্ৰুপের সঙ্গে মাহাবুবের দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে হামলা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের গ্ৰেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মাহাবুবের বিরুদ্ধে মাদকসহ ৮টি মামলা রয়েছে।

এদিকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় রাম দা হাতে তার ছবি ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতেই সংগঠন থেকে মাহাবুবকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও তিনি নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতেন।