বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরায় এক বছরে ৪ হাজার অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১৪০

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২৮, ২০২৫

প্রিন্ট করুন
বুলগেরিয়া বাস আগুন 1068x534 1

সিএন প্রতিবেদন: ২০২৪ সালে সারাদেশে ২৬ হাজার ৬৫৯টি এবং দিনে গড়ে ৭৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাস সংক্রান্ত কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানান।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, সারাদেশে গত বছর অগ্নিকাণ্ডে ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৭ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয় এবং ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনির্বাপণের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৫ টাকার সম্পদ রক্ষা করে।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে সারাদেশে ৩৪১ জন আহত ও ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। অগ্নিনির্বাপণের সময় ৩৭ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে দুজন কর্মী নিহত হন।

তালহা বিন জসিম বলেন, অগ্নিনির্বাপণকালে উচ্ছৃঙ্খল জনতা ফায়ার সার্ভিসের ৩৪টি গাড়ি ভাঙচুর ও ৮টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

কারণ ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৬ হাজার ৬৫৯টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৬৯টি (৩৩.৯৮ শতাংশ), বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ১৩৯টি (১৫.৫২ শতাংশ), চুলা থেকে ৩ হাজার ৫৬টি (১১.৪৬ শতাংশ), উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ৭৮৯টি (২.৯৫ শতাংশ), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৭৫৯টি (২.৮৪ শতাংশ), উত্তপ্ত ছাই থেকে ৭৩৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ৭০৪টি, গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৪৬৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে ৪৪টি (০.৪৫ শতাংশ), কয়েল থেকে ৪৫৫টি এবং আতশবাজি/ফানুস/পটকা পোড়ানো থেকে ৬৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন