মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: সরে গেলেন চবির পাঁচ সমন্বয়ক

শনিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

সিএন প্রতিবেদন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন সমন্বয়ক পদত্যাগ করেছেন। এসময় তারা অন্যান্য সমন্বয়কদের সততা, ক্যাম্পাস সংস্কারের কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে তাদের তৎপর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ সমন্বয়ক পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

পদত্যাগ করা পাঁচ সমন্বয়ক হলেন, সুমাইয়া শিকদার, ধ্রুব বড়ুয়া, ঈশা দে, আল মাসনুন ও সাইদুজ্জামান রেদোয়ান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যে একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে। জনমানুষকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছে। কিন্তু এই সফলভার পরবর্তীতে স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলেও, পরবর্তীতে নানা ধরনের সমন্বয়হীনতা দৃশ্যমান হয়েছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে সমন্বয়করা জবাবদিহিতা করছে না এবং নানা ধরনের সাফাই দিচ্ছেন যেগুলো অনেকাংশেই একপাক্ষিক। প্রথম থেকেই যেসব সমন্বয়হীনতা ও অপরাজনীতির আভাস পেয়েছি, আমরা সেগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

ভিসি, প্রক্টর ও প্রভোস্টদের পদত্যাগের যৌক্তিকতা ও অযৌক্তিকতা বিষয়ে নানা ধরনের বিতর্ক উঠে আসছিলো। আমরাও তাদের পদত্যাগ চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা ধাপে ধাপে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আগমণ, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সকল প্রকার লেজুরভিত্তিক ও দখলদারি দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের ব্যবস্থা করেই যেন ভিসি পদত্যাগ করে। কিন্তু কোন মতামতকে যাচাই বাছাই না করেই সমন্বয়করা ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে ফেলে। শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে সমালোচনার সঠিক কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি সমন্বয়ক কমিটিতেও।

আন্দোলন চলাকালীন সময়ে চবির সমন্বয়ক সংখ্যা ছিলো ২২ জন। কিন্তু পরবর্তিতে আগস্ট মাসের ৫ তারিখ চবি সমন্বয়ক সদস্য সংখ্যা হয় ৩০ জন। ৫ তারিখে নতুন যেই কয়জন কমিটিতে যুক্ত হয়েছে তাদের বিষয় নিয়েও মূল সমন্বয়করা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

এমনসব ঘটনা, জবাবদিহিতাহীনতা ও ট্যাগা-ট্যাগির ফ্যাসিস্ট বয়ান আমাদের মনে স্বাভাবিক প্রশ্নের জন্ম দেয়। আমরা মনে করি, সমন্বয়করা আমাদের সাথে সৎ নন। ক্যাম্পাস সংস্কারের কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে তারা তৎপর নন, প্রভোস্টদের পদত্যাগ না করিয়ে হলে শিক্ষার্থীদের উঠানোর ব্যাপারে আরও ভালো সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারতেন।

আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্বেগকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতকে সম্মান জানাই। তাই আমরা সকলে মিলে নিজ নিজ সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করছি। আগামীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যে সকল কর্মসূচি পালন হবে তার সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আমরা সবসময় ছিলাম এবং আগামীতেও থাকবে।

সিএন/এমটি

Views: 9

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন