ব্রঙ্কসের নিষ্পাপ শিশুটিকে যেভাবে হত্যা করেন তার বাবা

নিউজ ডেস্ক: ব্রঙ্কসের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির বিবৃতিতে জানানো হয়, নিখোঁজের এক মাস পর শিশুটির মরদেহ পাওয়ার আগ পর্যন্ত মন্ট্রেলের অবস্থান নিয়ে তার মা ও দাদিকে কোনো তথ্য দেননি বিবাদী। এটি তাদের জন্য নিদারুণ মানসিক বেদনার কারণ হয়। এক্সপ্রেসওয়ের ওভারপাসে বাবার পাশে কয়েক মিনিট দাঁড়ানো ছিল নিষ্পাপ মন্ট্রেল উইলিয়ামস। এর একপর্যায়ে দুই বছরের শিশুটিকে ওভারপাসের রেলিংয়ের ওপর দিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস নদীর শীতল জলে ফেলে দেন তার বাবা।

জন্মদাতা কর্তৃক শিশু হত্যার এ বর্ণনা বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দেন প্রসিকিউটররা। ব্রঙ্কসের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ডারসেল কার্ক এক বিবৃতিতে জানান, নদীতে ফেলার কয়েক মিনিট আগে মন্ট্রেলকে জীবিত অবস্থায় দেখা যায়। বিবাদী তাকে তুলে নদীতে ছুড়ে মারে বলে জানা যায়।

এনওয়াই ডেইল নিউজ জানায়, অ্যাটর্নির এ বিবৃতির আগে খুন, নরহত্যা ও হুমকির অভিযোগে হতভাগ্য শিশুটির বাবা ২০ বছর বয়সী অ্যারিয়াস উইলিয়ামসকে অভিযুক্ত করেন একজন গ্র্যান্ড জুরি। ব্রঙ্কসের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির বিবৃতিতে জানানো হয়, নিখোঁজের এক মাস পর শিশুটির মরদেহ পাওয়ার আগ পর্যন্ত মন্ট্রেলের অবস্থান নিয়ে তার মা ও দাদিকে কোনো তথ্য দেননি বিবাদী। এটি তাদের জন্য নিদারুণ মানসিক বেদনার কারণ হয়।

মা দিবসে নিজ মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ছেলেটিকে সঙ্গে করে নিয়ে যান অ্যারিয়াস। ছেলেটির সঙ্গে কী করেছেন, সে বিষয় এড়িয়ে চলেন এ তরুণ।
মন্ট্রেলকে ১০ মের পর খুঁজে পাননি তার ১৭ বছর বয়সী মা। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, শিশুটির বিষয়ে জানতে চাইলে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখান অ্যারিয়াস। ওই সময় তিনি জানান, ছেলেকে নদীতে ছুড়ে ফেলেছেন তিনি। এ ঘটনার পর ব্রঙ্কসের একটি পারিবারিক আদালতে শিশুটির অবস্থান নিয়ে কোনো তথ্য জানাতে চাননি অ্যারিয়াস। এ কারণে আদালত অবমাননার দায়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে মন্ট্রেলের মাকে অ্যারিয়াসের দেওয়া হুমকি এবং ছেলেকে পানিতে ছুড়ে ফেলার স্বীকারোক্তির ঘটনায় শিশুর সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়। সে তল্লাশির একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক মাইল দূরে শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায়। শিশুটির পরনে ছিল ক্যালভিন ক্লেইনের টি-শার্ট। নিখোঁজের সময় এ জামা ছিল তার গায়ে।