মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

মনজুর আহমেদের ‘আমার সেই সময়’ ও ‘আমার এই সময়’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৮, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের এক উজ্জ্বল নাম মনজুর আহমেদ। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা নিয়ে তিনি যেমন দেশে রেখেছেন গভীর ছাপ, তেমনি প্রবাসেও হয়ে উঠেছেন সাহিত্য ও সাংবাদিক সমাজের এক প্রভাবশালী মুখ। রোববার (২৬ অক্টোবর) নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে তার দুই নতুন গ্রন্থ— আমার সেই সময় ও আমার এই সময়—এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গ্রন্থদ্বয় প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের খ্যাতনামা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘আগামী প্রকাশনী’। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন টাইম টিভির প্রধান নির্বাহী আবু তাহের ও সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকি। 

উদ্বোধনী বক্তব্যে আবু তাহের বলেন, “মনজুর আহমেদ এমন এক লেখক, যিনি সময়কে শুধু বর্ণনা করেন না—সময়কে অনুধাবন করান। তার লেখায় থাকে নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তবতার বিশ্লেষণ।”

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন আহমাদ মাযহার, কাজী জহিরুল ইসলাম, আবেদীন কাদের, হাসান ফেরদৌস, মনিজা রহমান, সাঈদ তারেক, রাজিয়া নাজমী, রাণু ফেরদৌস, শামস আল মুমিন, ইব্রাহীম চৌধুরী, কাজী আতিক, মুজিব বিন হক, বিশ্বজিৎ সাহা, মোশাররফ হোসেন, আব্দুস শহীদ প্রমুখ। বক্তারা মনজুর আহমেদের লেখনীকে সময়নিষ্ঠ ও সত্যনিষ্ঠ বিশ্লেষণের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

আহমাদ মাযহার বলেন, “তিনি যা দেখেছেন, তা অভিজ্ঞতার চোখ দিয়ে দেখেছেন; আর যা লিখেছেন, তা একজন সাংবাদিকের দায়বোধ নিয়ে উপস্থাপন করেছেন।” আর হাসান ফেরদৌসের মতে, “এই দুটি বই কেবল স্মৃতিচারণ নয়, সময়ের দলিলও বটে।”

আমার সেই সময় গ্রন্থে লেখক তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের শুরুর দিনগুলো, রাজনৈতিক অস্থির সময়ের অভিজ্ঞতা ও সাংবাদিকতার নেপথ্যের মানুষদের গল্প। আর আমার এই সময় বইয়ে রয়েছে প্রবাস জীবনের বাস্তবতা, সামাজিক রূপান্তর ও বিশ্বায়নের প্রভাবে হারিয়ে যাওয়া দেশ ও স্মৃতির অন্বেষণ।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী সাংবাদিক, সাহিত্যপ্রেমী ও সংস্কৃতিকর্মীরা অংশ নেন। মোড়ক উন্মোচনের পর পুরো আয়োজনে ছিল একধরনের আবেগ ও উষ্ণতা—যেখানে প্রবাসের মঞ্চে ফিরে এসেছিল বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাস, সাহিত্যচর্চার উত্তরাধিকার এবং সময়ের সৎ স্বাক্ষী একজন লেখকের জীবন্ত উপস্থিতি।

মনজুর আহমেদের আমার সেই সময় ও আমার এই সময়— কেবল দুটি বই নয়, সময়ের সঙ্গে পথ চলা এক সাংবাদিকের আত্মকথা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন