শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

মশার লার্ভা খায় এমন মাছ-কীটপতঙ্গ খুঁজছে সন্ধানে চসিক

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

সিএন প্রতিবেদন: চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গু ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ঔষুধ ক্রয়, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও নতুন কৌশল খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। প্রয়োজনে মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে এমন মাছ, কীটপতঙ্গ ব্যবহার করারও পরামর্শ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র এসব নির্দেশনা দেন।

চসিক মেয়র বলেন, বর্তমানে দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশার জীবনচক্র বদলে যাচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনে আপনারা নতুন ওষুধের সন্ধান করুন। কোনো কোম্পানি যদি ভালো ঔষুধের সন্ধান দিতে পারে সেগুলো আমরা সংগ্রহ করবো। এ ব্যাপারে আমরা কোন কম্প্রমাইজ করতে চাই না।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অভিযান চালানোর ফলে নগরীর পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে কিছুটা হলেও গতি এসেছে। সামনে আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডভিত্তিক মনিটরিং চলবে।

মেয়র বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ১০০ টা ফগার মেশিন ও ১২০ টা স্প্রে মেশিন কিনেছি। এছাড়া বেশ কিছু ব্যাংক সিটি কর্পোরেশনকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় অত্যাধুনিক ফগার মেশিন উপহার দিয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা চলছে, তারাও জনগণের পাশে দাঁড়াতে ইতিবাচক। জনগণ যাতে মশার কামড় খেয়ে হাসপাতালে যেতে না হয় কিংবা মৃত্যুবরণ না করে কিংবা তারা কোন ডিস্টার্ব ফিল না করে এজন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

মেয়র আরও বলেন, যে সকল পরিচ্ছন্নকর্মী মশার স্প্রে করার ক্ষেত্রে গাফিলতি করছে তাদের চাকরি থেকে বের করে দেব। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের যারা সুপারভাইজার আছেন আপনাদেরকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কেউ ফাঁকিবাজি করলে এটার দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মাসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন