চলমান ডেস্ক: সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর পর থেকে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নতুন আতঙ্ক। করোনা কাটিয়ে উঠার আগেই মানুষ মুখোমুখি নতুন সমস্যার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অনুসারে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ রোগ। এটি একটি বিরল রোগ যা পক্সভিরিডে পরিবারের অন্তর্গত অর্থোপক্সভাইরাসের মধ্যে পড়ে এই ভাইরাস।
স্মলপক্স, কাউপক্স, হর্সপক্স, ক্যামেলপক্সের সঙ্গে মিল রয়েছে মাঙ্কিপক্সের, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে জেনেটিক রোগটি প্রাথমিকভাবে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইনফরেস্ট এলাকায় দেখা যায়, মাঝে মাঝে এটি অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রমণের লক্ষণ: জ্বর, ফুসকুড়ি, তীব্র মাথাব্যাথা, পিঠেব্যাথা আর পেশীতে ব্যাথা হয়, দুর্বলতা বেড়ে যায়, ওঠার ক্ষমতা প্রায় থাকে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীদের ত্বকের বড় বড় ফুসকুড়ি বা ফোসকার মত দেখা দেয়। আক্রান্ত হওয়ার প্রথম থেকে তৃতীয় দিনের মধ্যেই প্রবল জ্বর আসে, মুখও ভরে যায় ফুসকুড়িতে। এছাড়া হাতের তালু আর পায়ের পাতাও ভরে যায় ফুসকুড়ি আর গোটা গোটা ফোসকাতে। সর্দির সমস্যা হয়, যৌনাঙ্গ, কনজোক্টিভা ও কর্নিয়াতে প্রভাব পড়ে এই ভাইরাস, এই ভাইরাস সাধারণত ৬-১৩ দিন থাকে, অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি ২১ দিন পর্যন্ত অসুস্থ থাকে।
যেভাবে ছড়ায় মাঙ্কিপক্স: ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি বলেছে মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাস সংক্রমণ, এটি মানুষের মধ্যে সহজে ছড়ায় না, এই রোগের প্রথম প্রকোপ দেখা দিয়েছিল ১৯৫৮ সালে। সেই সময় গবেষণার জন্য রাখা বানরদের থেকেই পক্সের মত রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছিল, মূলত ব্রিটিশ ও মার্কিন উপনিবেশগুলিতেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল, সেইজন্যই এই রোগের নাম দেওয়া হয়েছিল মাঙ্কিপক্স।
আইআই /সিএন
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন