সানজিদা জাহিন প্রিমা
উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষে সিলেটের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৭ বছর আগে প্রতিষ্টিত হয় পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। চিকিৎসাবিদ্যায় জ্ঞান আহরণ ও দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি এই প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে সদা সচেষ্ট।এরই ধারাবাহিকতায়
“আর্তের সেবায় মোরা একটি পরিবার” এই স্লোগান নিয়ে মেডিসিন ক্লাব,পার্কভিউ মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিলো প্রায় দুই বছর আগে।
শুরুর গল্প বললেন ক্লাবের কার্যকরী সদস্য উচ্ছাস দাস,”২৭ ডিসেম্বর,২০১৯ তারিখে কনভেনার প্রাপ্তির মাধ্যমে আমাদের ক্লাবের অফিশিয়াল যাত্রা শুরু হলেও ক্লাবের কার্যক্রম শুরু হয় ১৪ নভেম্বর,২০১৯ থেকে।আর এই বছর দু’য়েকের যাত্রায় আজ প্রাণের ক্লাবের বিস্তরণ পুরো সিলেট ব্যাপী।প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে দুস্থ,অসহায়,সহায়-সম্বলহীন মানুষের তরে।মানবতাকে আঁকড়ে ধরা ক্লাবের এই আকাঙ্ক্ষা, উদ্দীপনা ছড়িকে যাক দেশব্যাপী প্রতিটি মানুষের মনে।আর ঠিক এভাবেই গড়ে উঠবে একটি সুন্দর ক্লাব,সুন্দর সমাজ এবং অবশ্যই একটি সুন্দর রাষ্ট্র”।
সংগঠনটি করোনা পূর্ববর্তী এবং করোনাকালীন সময়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করে এসেছে।করোনা সংক্রমণ রোধে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে পিপিই।
১৪ নভেম্বর, ২০১৯ এ মেডিসিন ক্লাবের উদ্যোগে প্রথম হেপাটাইটিস-বি ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রাম শুরু হয়।প্রথম ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রাম খুব সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে মেডিসিনিয়ানরা সম্পন্ন করে।ফলশ্রুতিতে অনেক মেডিসিনিয়ানই প্রথমবারের মতো ইন্ট্রামাস্কুলার ও ইন্ট্রাভেনাস ইঞ্জেকশন পুশ করার নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত হয় এবং পরবর্তীতে এরা সবাই এ কাজে দক্ষ হয়ে ওঠে।
মেডিসিন ক্লাবের পক্ষ থেকে একই বছর ৪র্থ বর্ষের প্যারাক্লিনিক্যাল ক্লাস নেওয়া হয়।।ক্লাস নেন মেডিসিন ক্লাবের ৫ম বর্ষের সদস্যবৃন্দ।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে সকলকে অবগত করার উদ্দেশ্য নিয়ে এবং এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে জানানোর জন্য মেডিসিন ক্লাব পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ পরপর দুটি এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম করে। সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ ও এবং নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ছিলো প্রোগ্রাম দুটির ভেন্যু।
মেডিসিন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যেও বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। ২০২০ সালে এতিমখানায় ৮০ জন শিশুর সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে মেডিসিন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। একই সাথে ৮০ জন শিশুর রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয় এবং এতিমখানার সকলের সাথে মেডিসিনিয়ানরা ভোজনপর্বও সম্পন্ন করে।
জনকল্যানমুখী এ যাত্রা অব্যাহত রাখতে ক্লাবের সকল সদস্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
মাত্র দুই বছর ক্লাবের সকল সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম এর ফলেই আজ ক্লাব বর্তমানে সিলেটে অন্যতম জননন্দিত সংগঠন হতে পেরেছে।
সংগঠনের আহবায়ক তানজিদা ইসলাম তিথি বলেন, যখন আমাদের কলেজে মেডিসিন ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়েছিল তখন গুটিকয়েক মানুষকে নিয়ে স্বল্প পরিসরে এর যাত্রা শুরু করি।কিছু সিনিয়র আর স্যারদের সাপোর্টে একটু একটু করে এগোতে থাকা মেডিসিন ক্লাবের কাজ,পরিচিতি আজ অনেক বিস্তৃত।আলহামদুলিল্লাহ!আর ঠিক এভাবেই সংঘবদ্ধ হয়ে দেশ ও দশের সেবায় কাজ করে যেতে চাই।যার প্লাটফর্ম হিসেবে থাকবে প্রাণের মেডিসিন ক্লাব।সবার এক্টিভ পার্টিসিপেশনের মাধ্যমে মেডিসিন ক্লাবকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে চাই যেন অনেক বছর পরও নিজের ক্যাম্পাসে আসলে একজন মেডিসিনিয়ান হিসেবে গর্ববোধ করতে পারি।
আরএইচ/সিএন
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন