শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

শিরোনাম

মিজানের তিন ও বাছিরের আট বছর কারাদন্ড

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চলমান ডেস্ক: অবৈধভাবে তথ্য পাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমাননের তিন বছর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের আট বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে উল্লেখ করা হয়, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৬৫(এ) ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ প্রামাণিত হয়েছে। দুই ধারার অপরাধ একই ধরনের হওয়ায় তাকে একটি ধারায় অর্থাৎ ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। এছাড়া অপর আসামি বাছিরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৬১ ধারা, মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা ও দুদক আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাকে মানিলন্ডারিং আইনে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাভোগ করতে হব। এছাড়া দণ্ডবিধি ১৬১ ধারায় তাকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে।

রায় ঘোষণার পর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করে সক্ষম হয়েছি। বাছিরের বিরুদ্ধে তিনটি ধারা ও মিজানের বিরুদ্ধে দুটি ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বাছিরকে দুই ধারায় আট বছর (পাঁচ ও তিন বছর করে) ও মিজানকে একটি ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর ধারায় অপরাধ একই ধরনের হওয়ায় তাকে সাজা দেওয়া হয়নি। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করার কথা জানান।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কড়া পুলিশি প্রহরায় ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে বিচারক এ মামলার রায় পড়া শুরু করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা রায় পড়া শেষে আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে একই বছরের ১৮ মার্চ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে।

এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়। মামলার তদন্ত চলাকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।

এফআইটি/সিএন

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন