মীরসরাইয়ে চারটি কারখানা করবে সুপার রিফাইনারি; বেজার সাথে চুক্তি সই

চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে দশ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে সুপার রিফাইনারি (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে একটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। 

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কার্যালয়ে এ বিষয়ে জমি ইজারা চুক্তি সই হয়েছে। বেজার নির্বাহী সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আলী আহসান এবং সুপার রিফাইনারির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাজির আহমেদ চুক্তিতে সই করেন।

চুক্তি অনুসারে, সুপার রিফাইনারি ১৮ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে মীরসরাইতে চারটি কারখানা স্থাপন করবে, যাতে বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদন করা হবে। এসব কারখানায় অন্তত ২০৩ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে পরিকল্পিত শিল্পায়নের অংশ হিসেবে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, যার মধ্যে সবচেয়ে অগ্রাধিকার পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর।’

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেজার অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।  

সুপার রিফাইনারির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাজির আহমেদ জানান, তাদের চারটি কারখানায় প্রেসিপিটেটেড সিলিকা, এলএবিএসএ, পিউরিফাইড ইথাইল অ্যালকোহল, অকটেন ও বোটলিং এলপিজি উৎপাদন করা হবে। এগুলো চামড়াজাত পণ্য, ডিটারজেন্ট ও স্যানিটাইজার তৈরির প্রাথমিক কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

বেজা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুন্ড উপজেলা এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় বিস্তৃত প্রায় ৩০ হাজার একর জমির ওপর গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। এ শিল্পনগরে মাধ্যমে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছে বেজা। ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে।

রকারী বিভিন্ন সংস্থার সাথে বেজার সুসমন্বয়ের ফলে নির্মিত হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের সংযোগকারী দশ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক পথ ‘শেখ হাসিনা সরণি’, বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘিরে ১৬ কিলোমিটা দীর্ঘ প্রতিরক্ষা বাঁধ বা সুপারডাইক, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ। এছাড়াও ২১২ একর জমিতে ‘শেখ হাসিনা সরোবর’ নামে কৃত্রিম জলাধার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।