মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

মুনা দিনব্যাপী কনভেনশনে জনস্রোত, ন্যায় প্রতিষ্ঠার ডাক

বুধবার, আগস্ট ১৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
মুনা
মুনা কনভেনশন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: উৎসবমুখর পরিবেশে অষ্টমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকার (মুনা) ৩ দিনব্যাপী কনভেনশন। ‘পিস এন্ড জাস্টিস ফর হিউম্যানিটি’—স্লোগান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভেনিয়া রাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরস্থ পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় এবারের সম্মেলন। যেখানে অংশ নেন দেশ বিদেশের কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান। কনভেনশনের আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের গণ অভ্যুত্থান এবং , গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনসহ বিভিন্ন বিষয়। এছা কনভেনশনে বিশ্বব্যাপী সকল নির্যাতিতদের মুক্তি কামনায় দোয়া এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি তোলা হয়।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেল শুরু হয় এই কনভেনশন। যা চলে  চলে রোববার (১১ আগস্ট) অপরাহ্ন পর্যন্ত। মুনা কনভেনশন ঘিরে পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টার মিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি মুসলিম কমিউনিটির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিলো। উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন স্থান থেকে কনভেনশনে যোগদানকারী অধিকাংশরা-ই ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি অথবা বাংলাদেশি বংশদ্ভুত আমেরিকান। কনভেনশনের বিভিন্ন অধিবেশনের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তাদের কথায় অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থান, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগ, আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম, অত্যাচার, অন্যায়, অবিচার, অনিয়মের কথা উঠে আসে।পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন প্রভৃতি বিষয়ও উঠে আসে।

আয়োজকরা জানান, মুনা কনভেনশন ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুরে নিউইয়র্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে হাজার হাজার মুসলিম নর-নারী সপরিবারে কনভেনশন সেন্টারে এসে মিলিত হন। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস, ব্রুকলীন, ওজনপার্ক প্রভৃতি এলাকা থেকে একাধিক বাসযোগে হাজার হাজার বাংলাদেশি সপরিবারে এই কনভেনশনে যোগ দেন। আবার অনেকে ব্যক্তিগত গাড়িযোগে ফিলাডেলফিয়া আগমণ করেন। কনভেনশন আয়োজকদের ধারণা এবারের কনভেনশনে ১২-১৫ হাজারের মতো মুসলিম নর-নারীর সমাবেশ ঘটেছে।

বিশালাকারের পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর আশপাশের এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এবারের কনভেনশনে নতুন প্রজন্মের ব্যাপক উপস্থিতি। সামার ভ্যাকেশনের সুযোগে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের সাথে এই কনভেনশনে অংশ নিচ্ছেন বলে অনেকই জানান। এছাড়াও কনভেনশনের আয়োজনেরও প্রশংসা করেছেন অনেকেই।

সরজমিনে আরও দেখা গেছে, লাইনে দাড়িয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। তারপর যোগ দিয়েছেন মূল অনুষ্ঠানে। এদিকে কভেনশনের বিভিন্ন আলোচনা ও সেমিনারের মাঝে মাঝে মুনার সোস্যাল সাভিস, আল কোরআন দাওয়াহ সেন্টার প্রভৃতি সংগঠনের কার্যক্রম ভিডিও কার্যক্রমের মাধ্যমে তুলে ধরার পাশাপাশি এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়। অন্যান্য হলে অনুষ্ঠিত হয় বিষয় ভিত্তিক সেমিনার। ছিলো ইয়্যুদের জন্য বিশেষ সেমিনার। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনেও বিভিন্ন মানববিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এ ছাড়াও কনভেনশনের স্পন্সর সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও সংক্ষেপে তাদের কর্মকান্ড তুলে ধরেন। কনভেনশন সেন্টারে বিভিন্ন পণ্যের ১৩৫টি স্টল স্থান পায় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

মুনা কনভেনশন ২০২৪

কনভেনশনে আগতদের স্বাগত জানান মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন-অর রশীদ ও কনভেনর আরমান চৌধুরী। কনভেনশনের বিভিন্ন পর্বে আল কোরআন ও হাদিসের আলোকে তিন দিনের আলোচনায় মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট, সাবেক ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম দেলোয়ার হোসেন ও আবু মোহাম্মদ নূরুজ্জামান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, লন্ডন থেকে আগত ব্যারিস্টার হামিদ হোসেন আজাদ আলোচনায় অংশ নেন।

এতে আরও আলোচনা করেন—নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম ও খতিব মির্জা আবু জাফর বেগ, ড. ইয়াসির কাধি, ইমাম ড. ওমর সুলেমান, ইমাম সিরাজ ওয়াহহাজ, মুফতি হুসাইন কামানি, শন কিং, ইমাম সুলেমান হানি, শায়খ আব্দুল নাসির জাংদা, উস্তাদ তাইমিয়া জুবায়ের, ইমাম ড. মোহাম্মদ আবু তালেব, ড. আলতাফ হোসেন, ইসমাহান আবদুল্লাহি, ওসামা আবু ইরশাইদ, ড. সাইয়েদুর রহমান চৌধুরী, আবদুর রহমান খান, ড. জাহিদ বুখারী, ড. তাহির ওয়াইট, ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ইমাম বাবা গালে ব্যারি, ড. উসামা আল-আজামী, শেখ এ টিডিয়ান ডায়ালো, শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহি, নিহাদ আওয়াদ, আবু সামিহা সিরাজুল ইসলাম, ড. হাসান আবদেল সালাম, ড. আয়মান হাম্মুস, ডা. সাবিল আহমেদ, ডা. মাহেরা রুবি, ডা. আবুদুল্লাহ বালদি, ডা. মহসিন আনসারী প্রমুখ।

এ ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন পেনসেলভেনিয়া স্টেট সিনেটর নিখিল সাবা এবং পাকিস্তানি-আমেরিকান রাজনীতিক তারেক খান, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আব্দুল আজীজ ভূঁইয়া প্রমুখ।

কনভেনশনের বিভিন্ন পর্ব পরিচালনা করেন মুনা’র ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশীদ, কনভেনশনের কনভেনর আরমান চৌধুরী, সোস্যাল সার্ভিস-এর পরিচালক হাফেজ আব্দুল্লাহ আল আরীফ, মিডিয়া ও কালচালার বিভাগের পরিচালক আনিসুর রহমান গাজী, টিভি নিউজ প্রেজেন্টার ও আবৃত্তিকার অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মনসুর প্রমুখ।

যেভাবে সাজানো হয় ৩ দিনব্যাপী এই আয়োজন

মুনা কনভেনশন ২০২৪

কনভেনশন প্রথম দিন শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে জুম্মার নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে মুনা কনভেনশন শুরু হয়। পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টারের মূল মঞ্চে বিকেলে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী পর্বের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একাধিক তেলাওয়াতকারী। এদের মধ্যে ছিলেন কারী ইশতিয়াক বিন শফিক, কারী নজরুল ইসলাম, কারী আহমেদ মাবরুর, কারী হোসাইন সালেহ প্রমুখ। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনভেনশন কনভেনর আরমান চৌধুরী। এছাড়াও সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মুনা’র ন্যাশনার প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশীদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইমাম বাবা গালী বারী, শাহীন সিদ্দিকী, লন্ডন থেকে আগত ব্যারিষ্টার হামিদ হোসাইন আজাদ, ফিলাডেলফিয়া সিটি মেয়রের প্রতিনিধি, ড. আয়মান হামাস, ড. মহসিন আনসারী, ওসামা জামাল, ইমাম সিরাজ ওয়াজি, ড. সাইদুর রহমান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী সাইফুল্লাহ মনসুরের সঙ্গীত উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত চলে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান।

পরবর্তী সেশনে ‘দ্য ইউনাইটেড গাইডলাইন্স’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন আবু মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, ড. আলতাফ হোসাইন ও সাউন কিং। এরপর মাগরিবের নামাজের বিরতীর পর ‘ইসলামের সভ্যতা ও ঐতিহ্য-যে জাতি আলো ছড়ায়’ শীর্ষক সেশনে ‘ইসলামী সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্ব’ বিষয়ে ব্যারিষ্টার হামিদ হোসাইন আজাদ, ড. সাঈদুর রহমান চৌধুরী এবং ‘সালাহউদ্দিন আইয়ুবী-আমাদের প্রেরণা’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার।

এছাড়াও এদিন মূল পর্বের আলোচনা ছাড়াও ইয়্যুথ কনফারেন্সের পাশাপাশি অন্যান্য কনফারেন্স রুমে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা ও সেমিনারগুলোতে অতিথি আলোচকগণ বক্তব্য রাখেন।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে কনভেনশনের নানা অনুষ্ঠান আর কর্মকান্ড। এর মধ্যে ছিলো বিষয় ভিত্তিক আলোচনা, সেমিনার, ইয়্যুথ প্রোগ্রাম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।

এদিন ইসলাম, ন্যায় বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা বিষয়ক আলোচনা পর্ব দিয়ে শুরু হয় শনিবারের কর্মকান্ড। নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি)-এর ইমাম ও খতিব মির্জা আবু জাফর বেগ ও বাংলাদেশ থেকে আগত ড. আবুল কালাম আজাদ বাশারসহ বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের ইমামগণ এসময় বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আব্দুল আজীজ ভূইয়াও বক্তব্য রাখেন এই পর্বে। এছাড়াও মুসলিম সোসাইটি বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন ড. আলতাফ হোসাইন, মুফতি হোসাইন কামানী ও সুলেমান। এরপর ‘ন্যায়পরায়ন সমাজ গঠনের পদ্ধতি’ বিষয়ে আলোচনা করেন আবু আহমেদ নূরুজ্জামান এবং ‘সফল দাওয়া-পদ্ধতি ও কৌশল বিষয়ে আলোচনা করেন ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার। এর পর ফিলিস্তিনি বিষয়ক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ড. ওসামা আবু ইরশাদ, ইমাম ড. মোহাম্মদ আবু তালেব ও শায়েখ আবু নাসির জাংদা।

বিকেলের অধিবেশনে মুনা সোস্যাল সার্ভিস-এর পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরীফ এর উপস্থাপনায় ‘সামাজিক ন্যায়পরনায়তা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইসলাম’ শীর্ষক সেশনে ‘অন্যায় ও জুলুম সবসময় ন্যায় বিচারের জন্য হুমকী’ বিষেয়ে বক্তব্য রাখেন মুনা’র সাবেক ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম দেলোয়ার হোসাইন এবং ‘মজবুত ঈমানের আলোয় আলোকিত হৃদয় সাহাবায়ে কিরাম (রা)’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলেম ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার।

এছাড়াও কীনোট সেশনে বক্তব্য রাখেন ড. ওমর সোলাইমান, ড. আলতাফ হোসাইন, মুনা’র ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন-অর রশীদ। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পেনসেলভেনিয়া স্টেট সিনেটর নিখিল সাবা, মূলধারার রাজনীতিক তারেক খান প্রমুখ।

এদিনও মূল পর্বের আলোচনা ছাড়াও ইয়্যুথ কনফারেন্সের পাশাপাশি অন্যান্য কনফারেন্স রুমে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা ও সেমিনারগুলোতে অতিথি আলোচকগণ বক্তব্য রাখেন। এর পর মাগরিবের নামাজের বিরতীর পর রাত ৯টার দিকে শুরু হয় মনোজ্ঞ ইসলামী সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পী ও আবৃত্তিকার তোফাজ্জল হোসেন খান এবং ডা. আতাউল ওসমানী ও ইকবাল হোসেন জীবনের নেতৃত্বে উম্মাহ শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্যরা দলীয় ও এককভাবে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও রেনেসাঁ কালচারাল গ্রুপ, আটলান্টিক কালচারাল গ্রুপ, নায়াগ্রা কালচারাল গ্রুপ এবং মুনা চিল্ডরেন উইং-এর নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এই পর্বের সঙ্গীতগুলোতেও বাংলাদেশ আর প্যালেস্টাইন পরিস্থিতি উঠে আসে।

তৃতীয় ও শেষ দিন সকাল ১০টায় শুরু হয় তিন দিনব্যাপী কনভেনশনের সমাপনী অধিবেশন। এদিন মূল মঞ্চের কর্মকান্ডের মধ্যে ছিলো স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা, ইসলামী সঙ্গীত ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে ‘মুনা ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ পুরষ্কার বিতরণ। আলোচনা পর্বে ইসলামের আলোকে সুস্বাস্থ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন হাফেজ ডা. জাকির আহমেদ, ড. আলতাফ হোসাইন ও শায়েখ আব্দুল নাসির জাংদা। এ ছাড়াও শিশু বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন ডা. মোহাম্মদ আবু তালেব ও ব্যারিস্টার হামিদ হোসেন আজাদ। অ্যাওয়ার্ড বিতরণী পর্বে মুনা’র ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন-অর রশীদ বিজয়ী শিশু-কিশোর-কিশোরীদের হাতে অ্যাওয়ার্ড ট্রফি ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। এর আগে মুনা’র চিল্ডরেন উইং-এর নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে।

মুনা মুসলমান-অমুসলমানদের কাছে কুরআনের দাওয়াত দিয়ে থাকে: হারুন অর রশিদ

মুনা কনভেনশন ২০২৪

মুনা’র ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশিদ বলেছেন, ইমাম ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও বিশাল আকারের মুনা কনভেনশন সফল করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তিন দিনব্যাপী এই কনভেনশন বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির মাঝে ব্যক্তি এবং সমাজ গঠনে প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। মুনা কোন রাজনীতিক সংগঠন নয়। আমরা মুসলমান এবং অমুসলমানদের কাছে কুরআনের দাওয়াত দিয়ে থাকি।

মুনা কনভেনশনের শেষ দিন রোববার (১১ আগস্ট) সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি মুনা ন্যাশনাল সংগঠনের পক্ষ থেকে গোটা বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, মুনা আমেরিকার একটি দাওয়াতি ও সামাজিক সংগঠন। মানুষের ব্যক্তিগত নৈতিক ও সামাজিক মানোন্নয়নর জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা চালানোর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে প্রতিষ্ঠিত হয় মুনা। এই সংগঠনটি ১৯৯০ সালে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে কর্পোরেশনভুক্ত করা হয়। বর্তমানে মুনা যুক্তরাষ্ট্রের ৪৮টির বেশি অঙ্গরাজ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

হারুন অর রশীদ গাজার মুসলমানদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ৪০ হাজার মানুষের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। আমাদেরকে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি। আমাদেরকে জাগতে হবে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, আল কোরআন পথ নির্দেশ করে গোটা মানব জাতিকে। কল্যাণকর ও নির্ভুল পথ পরিদর্শন করে পথভ্রান্ত দিকহারা মানবতাকে। ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন, মানব দেহের অভ্যন্তরে লুকায়িত অন্তর বিন্দু থেকে সৃষ্টি লোকের বিশাল বিস্তৃত মানব সম্পর্কিত প্রতিটি স্তরে বিশ্ববাসীর কল্যাণে এক নির্ভুল গাইড হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে এই মহাগ্রন্থ আল কুরআন। মুনা গত বছর প্রায় ৭৫ হাজার কুরআন বিলি করেছে এবং এ কাজ অব্যাহত রাখছে। যে কেউ এ কাজে অংশগ্রহণ করতে চাইলে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো।

Views: 14

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন