চট্টগ্রাম: সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব এপিলেপসি বা মৃগীরোগ দিবস ২০২২। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সোমবার আন্তর্জাতিক ব্যুরো অব এপিলেপসি ও আন্তর্জাতিক লিগএগেনেস্ট এপিলেপসি যৌথভাবে এ দিনটি পালন করে আসছে। আমাদের দেশে প্রতি বছরের মত এবারো কোভিডকালীন এ দিনটি পালিত হচ্ছ।
গণ মাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার এমএম মাজেদ বলেন, ‘সাধারণত মৃগী রোগ স্নায়ুতন্ত্রের একটি জটিলতা। এ রোগে ৪০টির বেশি নিউরোলজিক্যাল লক্ষণের মধ্যে খুব কমন হলো খিঁচুনি। আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে, যার ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল থাকে। কিন্তু কোন কারণে মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক ও নিবৃত্তিকারক অংশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে মৃগী রোগের লক্ষণ দেখা দেয়।’
বার্তা তিনি বলেন, ‘মৃগীরোগ প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসাযোগ্য একটি অসুখ। আর খিঁচুনি রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে দেখা গেছে- কুসংস্কার, অসচেতনতা, ওষুধের স্বল্পতা, ডাক্তারের স্বল্পতা, ব্যয়বহুল ওষুধ।’
মাহতাব মাজেদ আরো বলেন, ‘মৃগীরোগ নিয়ে এক সময় ভুল ধারণা ছিল। বলা হত, ভূতে ধরেছে। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। গর্ভবতী মা যদি আঘাত পান বা প্রসবের সময় মায়ের অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয়, তবে নবজাতকের বা পরবর্তী ওই শিশুর মৃগীরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও আমাদের সমাজে রোগটি নিয়ে নানা বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে। ফলে টোটকা চিকিৎসা করাতে গিয়ে সঠিকভাবে রোগটি নির্ণয় ও চিকিৎসা হয় না। কিংবা ভুল চিকিৎসার কারণে জটিলতা বেড়ে যায়।’
মৃগীরোগে বিভ্রান্তি না হয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মাহতাব মাজেদ।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন