বিশ্বের সেরা মেধাবী পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করতে ভিসা ফি কমানো বা কিছু ক্ষেত্রে একেবারে মওকুফ করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে সম্প্রতি ভিসা ফি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, সেখানে লন্ডনের এ উদ্যোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ইতিমধ্যে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্ক ফোর্স’ প্রস্তাবটি নিয়ে কাজ করছে। উদ্দেশ্য হলো—অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং ডিজিটাল বিশেষজ্ঞদের ব্রিটেনে নিয়ে আসা।
ডাউনিং স্ট্রিট ও ট্রেজারির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, শীর্ষ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা কিংবা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে ভিসা ফি শূন্য করার চিন্তা চলছে। একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্বের সেরা মেধাবীরা যেন আর্থিক ঝামেলা ছাড়া ব্রিটেনে আসতে পারেন।’
এই সংস্কার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এইচ-১বি ভিসার ফি ১ লাখ ডলার করার ঘোষণা দেওয়ার আগেই। তবে ওই সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাজ্যের প্রস্তাব আরও গুরুত্ব পাচ্ছে।
‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্ক ফোর্স’-এর নেতৃত্বে আছেন ব্যবসায়িক উপদেষ্টা বরুণ চন্দ্র ও বিজ্ঞানমন্ত্রী লর্ড প্যাট্রিক ভ্যালেন্স। যদিও হোম অফিস এখনো এ বিষয়ে সরাসরি পদক্ষেপ নেয়নি, তবু নিয়মিত অভিবাসন নীতির পর্যালোচনার মধ্যেই বিষয়টি আলোচনায় আছে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা’র আবেদন ফি ৭৬৬ পাউন্ড এবং মাথাপিছু বার্ষিক স্বাস্থ্য সারচার্জ ১ হাজার ৩৫ পাউন্ড। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এই ভিসার আবেদনকারীর সংখ্যা ৭৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯০৩-এ।
শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের মতে, প্রতিযোগিতামূলক হতে হলে ব্রিটেনকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং খরচ কমাতে হবে। ইউনিভার্সিটিজ ইউকে ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক জেমি অ্যারোস্মিথ বলেন, ‘বিশ্বমানের প্রতিভা আকৃষ্ট করতে শুধু তহবিল নয়, স্বচ্ছ ও সহজ অভিবাসন ব্যবস্থারও দরকার আছে।’
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন