আল্লাহ যুগে যুগে বহু নবী-রসুল পাঠিয়েছেন। এমন কোন যুগ নেই নবী-রসুল থেকে খালি ছিল। নবী-রসুলদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হলেন আমাদের প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি নবী-রসুলদের সর্দার।
রসুলের (সা.) নবুওয়াতকে শক্তিশালী করার জন্য দেয়া হয়েছে অগণিত মুজেজা। তন্মধ্যে মেরাজ অন্যতম। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদের (সা.) জীবনে যে সব অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল, তার মধ্যে মিরাজের ঘটনা অন্যতম; যা কোরআন ও অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
মেরাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا অর্থ: (মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল) তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্যে।’ (সুরা বনি ইসরাইল ১)
নবীজি (সা.) এ রাতে অসংখ্য বড় বড় নিদর্শন দেখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল-
মানবজাতির পিতা আদমকে (আ.) দেখেছেন। তার ডানপাশে ছিল শহিদদের (জান্নাতিদের) রুহ এবং বামপাশে ছিল জাহান্নামিদের রুহ।
মেরাজের রাতে নবীজি জাহান্নাম দেখতে গেলে মালেক নামক জাহান্নামের প্রধান রক্ষী নবীজিকে সালাম ও অভ্যর্থনা জানান। (মুসলিম ১৬৫)
রসুল (সা.) বলেন, ‘অতঃপর আমার সামনে বায়তুল মামুর উন্মুক্ত করা হল। বায়তুল মামুর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে জিবরাইল বললেন, এটি হলো বায়তুল মামুর। এতে প্রতিদিন ৭০ হাজার ফেরেশতা সালাত আদায় করে। এক বার যে সেখান থেকে বের হয়ে আসে, কেয়ামতের পূর্বে সে আর তাতে প্রবেশের সুযোগ পাবে না।’
রসুল (সা.) বলেন, ‘অতঃপর আমার জন্যে সিদরাতুল মুনতাহা তথা সীমান্তের কূলবৃক্ষ উন্মুক্ত করা হল। এ বৃক্ষের ফলগুলো ছিল কলসির ন্যায় বড়। গাছের পাতাগুলো ছিল হাতির কানের মত বৃহদাকার।’
নবীজি (সা.) দাজ্জালকেও দেখেছিলেন। (মুসলিম ১৬৫)
সিএন/আলী
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন