নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের চেসাপিক শহরে মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট-এর একটি স্টোরে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পুলিশ বলছে, হামলার পেছনে স্টোরের ম্যানেজারই জড়িত। মূলত নিহত ৬ দোকান-কর্মী দ্বারা বিদ্রুপের শিকার হয়ে ক্ষোভ উড়াতেই এমনটা করেন তিনি।
রোববার (২৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে এসব বিষয় জানানো হয়।এর আগে গত মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাতে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে ছয়জন নিহত হন।
পুলিশ জানায়, আন্দ্রে বিং নামে ওই স্টোরের ম্যানেজারই এ কাজ করেন। তিনি ছয় সহকর্মীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনা ঘটানোর আগে নিজের মোবাইলে একটি অসংলগ্ন নোট লিখে যান তিনি
সেখানে জানান, সহকর্মীদের দ্বারা ‘বিদ্রুপের’ শিকার হওয়ায় তাদের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছেন।
ওই ম্যানেজার তার নোটে জানিয়েছেন, নিজের ওপর আরোপিত একটি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তার মনে হচ্ছিল তার সহকর্মীরা তাকে বিদ্রুপ করছিল এবং তার বিশ্বাস ছিল তার ফোন হ্যাক হয়েছিল। এতে করে ব্যাপক ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন।
ম্যানেজার তার নোটে লিখেছেন, ‘তারা আমাকে দেখে বিদ্রুপপূর্ণ হাসি হাসত। আমাকে নিয়ে বিদ্রুপ করত এবং শেষ দিন আমার ব্যর্থতা নিয়ে মজা করেছে। আর এ কারণে তারা আমার মতো পরিণাম ভোগ করেছে।’ এদিকে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওয়ালমার্টের ওই স্টোরের শিফট ম্যানেজার ছিলেন আন্দ্রে বিং। গুলি চালানোর আগে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে বিশ্রাম ঘরে ছিলেন তিনি। তখনই ছয়জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো শুরু করেন বিক্ষুদ্ধ ওই ম্যানেজার। ওই ঘরে আরও অনেকে ছিলেন। কিন্তু দেখে দেখে ছয়জনকে গুলি করায় ধারণা করা হচ্ছে তিনি তাদের টার্গেট করে হত্যা করেছেন। এরপর নিজের হ্যান্ডগান দিয়ে নিজেকে গুলি করেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ড চালানোর আগে বৈধ উপায়ে হ্যান্ডগানটি কেনেন আন্দ্রে বিং। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হ্যান্ডগান কেনার রশিদ পাওয়া গেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আগে কোনো ধরনের অভিযোগ ছিল না বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আইআই/সিএন
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন