চলমান ডেস্ক: ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েনের পর চরম উত্তেজনা চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রুশ সেনারা যে কোন মুহূর্তে ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে নিয়োজিত দূতাবাস কর্মীদের ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর পরপর একই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাজ্যও।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির কারণে দূতাবাসের কিছু কর্মী এবং নির্ভরশীলদের দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে।
এইদিকে ইউক্রেন আক্রান্ত হলেও যুক্তরাজ্য কোনো সেনা পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্র। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাশিয়ার যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে কোনো সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের নেই।
এর আগে যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য সেনা পাঠাতে চাইলে ইউক্রেন স্বাগত জানাবে। তবে যুক্তরাজ্য এরইমধ্যে ইউক্রেনে অল্প সংখ্যক পদাতিক সৈন্য পাঠিয়েছে সেখানকার সেনাদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করার জন্য।
পশ্চিমারা বলছে, কিয়েভ এবং ন্যাটোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কারণে ক্ষুব্ধ মস্কো ইউক্রেন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ক্রেমলিন বারবার অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা অস্বীকার করেছে। কিন্তু ক্রিমিয়া দখলের সময় রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের একটি অংশ দখল করে।
আইআই/ সিএন



চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন