ঘোষণা করেছিলেন আগেই। এবার তা কার্যকর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘ট্রাম্প কার্ড’ বিক্রি শুরু করে দিল তার প্রশাসন। মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রথম ধাপ হিসাবে যে কেউ এই কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
তবে তার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৫৩ কোটি টাকা) খরচ করতে হবে।
টাকার অঙ্কটা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। বুধবার সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানালেন কী ভাবে এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে, আর কার্ডধারীরা কী কী সুবিধা পাবেন।
‘ট্রাম্প কার্ড’ আমেরিকায় ‘গোল্ড কার্ড’ নামেও পরিচিত। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগ্রহীদের নতুন তৈরি হওয়া ওয়েবসাইট (ট্রাম্পকার্ড ডট গভ)-এ গিয়ে আবেদন করতে হবে।
সাইটে থাকা একটি ফর্ম পূরণ করার পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অপেক্ষমাণ তালিকা বা ‘ওয়েটলিস্ট’-এ থাকবেন। সেই ব্যক্তি নির্দিষ্ট মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হলে ট্রাম্প কার্ড হাতে পাবেন।
তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, এই কার্ড হাতে থাকা মানে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া নয়। তবে ‘ট্রাম্প কার্ড বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম দেশে (আমেরিকা) ঢোকার সুন্দর পথ’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কোনো ব্যক্তির ন্যূনতম বয়স ১৮ হতে হবে। তা ছাড়া সেই ব্যক্তিকে অন্তত পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
তার পর সেই ব্যক্তি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে আবেদনকারী ইংরেজিতে কথা বলতে সক্ষম কি না, তার নৈতিক চরিত্র যথাযথ কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই কার্ডের জন্য তার মার্কিন আইনসভার কাছে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ ক্ষেত্রে তার ব্যাখ্যা, নতুন কার্ডে কোথাও নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়নি, কেবল আমেরিকায় প্রবেশাধিকারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এই কার্ডের জন্য বহু ভারতীয় উপকৃত হবেন বলে সম্প্রতি দাবি করেছিলেন আমেরিকার বাণিজ্য সচিব হওয়ার্ড লুটনিক। তিনি বলেন, যারা আমেরিকার অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে চান, তাঁদের জন্য এটা বড় একটা সুযোগ।
দ্বিতীয়বার আমেরিকায় ক্ষমতায় কঠোর অভিবাসন নীতি নিয়ে চলার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সেই সঙ্গে কঠোর শুল্কনীতির কথাও ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ট্রাম্প এবার গ্রিন কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কারণ, বর্তমানে ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে অভিবাসী বিনিয়োগকারীরা আমেরিকায় গ্রিন কার্ড পেয়ে থাকেন। ট্রাম্প অবশ্য জানিয়েছেন, নতুন কার্ড গ্রিন কার্ডের মতোই, তবে এটি আরও একটু অভিজাত পর্যায়ের।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন