চলমান ডেস্ক: ‘যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে কোন স্নায়ুযুদ্ধে জড়াতে আগ্রহী নয়।’ বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। পাশাপাশি বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ করবে না বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তবে চীনকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইনের সম্মান করতে হবে, নইলে বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র যে কোন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ার করেন ব্লিঙ্কেন। অন্য দিকে, চীনের অভিযোগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি এখন যুক্তরাষ্ট্র।
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তাইওয়ান কিংবা সলোমন দ্বীপপুঞ্জসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সাম্প্রতিক সময়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। কোন পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। দুই দেশের তরফ থেকে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে স্নায়ুযুদ্ধের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে অনেক বার। এবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বেইজিংয়ের সাথে কোন সংঘাতে যেতে চায় না ওয়াশিংটন।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরো বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে চীনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দিতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। তবে বেইজিংকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান করতে হবে, নইলে বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ওয়াশিংটন যে কোন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ার করেন ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চীনের সাথে স্নায়ুযুদ্ধ চাই না; বরং যে কোন যুদ্ধই এড়াতে চাই আমরা। পৃথিবীর পরাশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে চীনকে আমরা বাধা দিতেও আগ্রহী নই। তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিলেও আমরা সেখানে হস্তক্ষেপ করব না। তবে বিশ্বের শান্তি বজায় রাখতে ও আন্তর্জাতিক আইন রক্ষায় কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।’
অন্য দিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অন্য কেউ নয়; বরং যুক্তরাষ্ট্রকেই হুমকি হিসেবে দেখছে চীন। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) চীনা প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র আরো দাবি করেন, ভবিষ্যতে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে নিজের স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা চালাতে পারে ওয়াশিংটন।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন