সিএন প্রতিবেদন: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে দেশের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। ওমরাহ পালনের উদ্দেশে ১৯ অক্টোবর সৌদি আরব যাওয়ার পর তিনি ২২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান। নিউইয়র্কে পৌঁছে জামায়াতের নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে একাধিক সভা, মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন তিনি।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তার এই সফরকে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। বিশেষ করে গত বছরের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্বর্তী সরকার ও বিরোধী দলগুলোর প্রতি ইতিবাচক অবস্থান—এই প্রেক্ষাপটে সফরটি নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
দলীয় সূত্র জানায়, সফরটি মূলত সাংগঠনিক। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়, স্থানীয় ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করা এবং প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোই সফরের মূল উদ্দেশ্য। তবে নির্বাচনের আগে তহবিল সংগ্রহ ও কূটনৈতিক যোগাযোগ নিয়েও আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য রাজনৈতিক বৈঠক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এই প্রশ্নটির উত্তর বৃহত্তর স্বার্থে আপাতত এড়িয়ে যাচ্ছি।”—যা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে নতুন কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, “নির্বাচনের আগে জামায়াত আমিরের যুক্তরাষ্ট্র সফর নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এ ধরনের সফরে সাধারণত কূটনৈতিক যোগাযোগ বা বার্তা বিনিময় ঘটে, যদিও দলটি তা প্রকাশ্যে স্বীকার করে না।”
তবে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, “এটা সম্পূর্ণ সাংগঠনিক সফর। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের কোনো কর্মসূচি নেই।”
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে সাংগঠনিক কার্যক্রম শেষে ডা. শফিকুর রহমান আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাজ্য হয়ে দেশে ফিরবেন। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সময় জামায়াত আমিরের এই সফর রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।



চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন