বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রফতানি আয়ে বাংলাদেশের রেকর্ড

সোমবার, মে ৯, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চলমান ডেস্ক : দেশের রফতানি আয়ে নতুন রেকর্ড হয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত) রফতানি হয়েছে ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪ হাজার ৫৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল বাংলাদেশ, যা ছিল এক অর্থবছরে রফতানির রেকর্ড। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই সেই রেকর্ড ভেঙে রফতানি খাতের নতুন রেকর্ড হলো।

সোমবার (৯ মে) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে জুলাই থেকে এপ্রিল, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আয় ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে ৪৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইপিবির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার ২ মাস আগেই রফতানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের দশম মাস এপ্রিলে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৪৭৩ কোটি ৮৭ লাখ (৪.৭৪ বিলিয়ন) ডলার বিদেশি মুদ্রা এনেছেন বাংলাদেশের রফতানিকারকরা।

ইপিবি’র পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বরাবরের মতোই রফতানি খাতে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে তৈরি পোশাক খাত। এ অর্থবছরের ১০ মাসে যে ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, তার মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকেই এসেছে ৩ হাজার ৫৩৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ তৈরি পোশাক খাতের রফতানি মোট রফতানির ৮৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই রফতানি আবার এ বছরের প্রথম ১০ মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি।

গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ৫১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি রফতানি আয় দেশে এসেছে। এ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি এসেছে ৪০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অর্থবছরের হিসাবে ১০ মাসে অর্থাৎ জুলাই-এপ্রিল সময়ে ৪৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন রফতানিকারকরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল) চেয়েও ১২ শতাংশ বেশি।

রফতানির এই ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে এবার রফতানি আয় ৫২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে রফতানি বাণিজ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ। অর্থবছরের বাকি দুই মাসেও (মে ও জুন) এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন রফতানিকারকরা।

এছাড়া এই ১০ মাসে হিমায়িত ও তাজা মাছ রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, কৃষি খাতে ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ, রাসায়নিক পণ্যে ২৪ দশমিক ০৬ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ, রাবার জাতীয় পণ্যে ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, হস্তশিল্প পণ্যে ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি পণ্য রফতানি হয়েছে।

এফআইটি/সিএন

Views: 0

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন