চলমান ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আর কখনো রাজনীতিতে ফিরবেন না। বাবার প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদের সময় হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা ইভাঙ্কা এখন ব্যক্তিগত জীবনের ওপর গুরুত্ব দিতে চান।
ইভাঙ্কার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ফ্লোরিডার মিয়ামিতে স্বামী জ্যারেড কুশনার এবং সন্তানদের নিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে স্থির হতে চান তিনি। ২০২১ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদ শেষে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান ইভাঙ্কা।
২০২২ সালে ট্রাম্প তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিলে, ইভাঙ্কা স্পষ্ট করে জানান তিনি কোনোভাবেই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন না। নিজের অবস্থানে অটল থেকে ২০২৪ সালের নির্বাচনেও তিনি দূরে ছিলেন।
‘দ্য লেক্স ফ্রিডম্যান পডকাস্ট’-এ ইভাঙ্কা বলেছেন, ‘রাজনীতি বেশ অন্ধকার একটি জগৎ। এখানে অনেক নেতিবাচক বিষয় রয়েছে, যা আমার ব্যক্তিগত মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
হোয়াইট হাউসে কর্মরত অবস্থায় ফৌজদারি বিচার সংস্কার, মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই এবং দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন ইভাঙ্কা। তবে বাবার কিছু বিতর্কিত নীতি নিয়ে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে।
ইভাঙ্কার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি সরাসরি কোনো পদে না থেকেও বাবার সঙ্গে নিয়মিত কথা বলবেন এবং আড়াল থেকে পরামর্শ দেবেন। ট্রাম্প প্রশাসনে তাঁর স্বামী কুশনারও কোনো আনুষ্ঠানিক ভূমিকা নিতে রাজি হননি। তবে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক কাজে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতে পারেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবারের প্রতি আস্থা বজায় রেখে তাঁর জামাতা জ্যারেড কুশনারের বাবাকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প এখন নতুন পথচলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। তবে মার্কিন রাজনীতিতে ট্রাম্প পরিবারের উপস্থিতি তাঁর ছায়া থেকে কখনো পুরোপুরি মুক্ত হবে কি না, সেটি দেখার বিষয়।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন