সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

‘রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক’ নিয়ে যে তথ্য দিলেন ল্যাভরভ

সোমবার, অক্টোবর ২৭, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে ওয়াশিংটনের ওপর।

রোববার (২৬ অক্টোবর) হাঙ্গেরির ইউটিউব চ্যানেল ‘উলট্রাহাং’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুদাপেস্টে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, ঠিক আছে, আমরা প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করি।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মস্কো সম্ভাব্য শীর্ষ বৈঠকের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে, কিন্তু এ উদ্যোগটি সম্পূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।

ল্যাভরভ বলেন, আমরা ভদ্র মানুষ। যখন আমন্ত্রণ আসে, আমরা ‘হ্যাঁ’ বলি এবং ঠিক করি কবে, কোথায় ও কিভাবে বৈঠক হবে। কিন্তু পরে আমন্ত্রণ বাতিল হয়ে যায়, যেমনটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন। পরে বলা হয়েছে, ‘বাতিল’ মানে ‘স্থগিত রাখা’। এটি যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাদের ওপর নির্ভর করছে।

ল্যাভরভ আরও উল্লেখ করেন, আমি মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। পুরো উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এসেছে। আমরা প্রস্তুত আছি, এখন যুক্তরাষ্ট্র যখন সুবিধা মনে করবে।

ইউক্রেনের ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন ফরম্যাটে আলোচনা চলছে জানিয়ে ল্যাভরভ বলেন, পুতিন ও ট্রাম্প, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান, স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের একটি বাফার জোন প্রয়োজন, কারণ ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার ভূখণ্ডে অব্যাহতভাবে গোলাবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। বিশেষ করে ব্রিয়ানস্ক, বেলগোরদ, কুরস্কের মতো অঞ্চলগুলোতে।

ল্যাভরভ পুনর্ব্যক্ত করেন, রাশিয়ার লক্ষ্য ইউক্রেন নিয়ে অপরিবর্তিত। ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে, ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না, পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না এবং রাশিয়ান ভাষাভাষীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এখন ইউরোপীয়রা যুদ্ধবিরতির রেটরিকে কেন্দ্র করে এজেন্ডা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সংলাপের বিরোধিতা করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে।

ল্যাভরভ ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্যপদকে ‘ভুল’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এমন পদক্ষেপগুলো আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আরও খারাপ করছে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন