শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

শিরোনাম

শপথ নিলেন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চলমান ডেস্ক: আজ শপথ নিয়েছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি হাসান পয়েজ সিদ্দিকী। এদিন বিকেল পৌনে ৫টার দিকে প্রথমে শপথ নেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরপর পর্যায়ক্রমে চার নির্বাচন কমিশনার শপথ নেন।
সিইসিকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর পর প্রধান বিচারপতি একে একে অপর চার নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এবং আনিছুর রহমানকে শপথ বাক্য পাঠ করান। জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার থেকে অফিস করবেন নতুন নির্বাচন কমিশনাররা। 
শপথ গ্রহণ শেষে এদিন বিকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আমি আশাবাদী, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারব। সব কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে আগামীকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা ও দোয়া চেয়ে নতুন সিইসি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের অংশীদারিত্বপূর্ণ নির্বাচন করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। প্রতিটি নির্বাচনই একটি চ্যালেঞ্জ। শুধু ইসি চাইলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, সবার সহযোগিতা লাগবে। সর্বোচ্চ ভালোটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে আমাদের।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মানুষের জীবনটাও চ্যালেঞ্জ, নির্বাচনও একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু কোনো চ্যালেঞ্জকে ভয় পেলে হবে না। চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। জাতীয় হোক আর স্থানীয় নির্বাচন হোক। চ্যালেঞ্জ যেটা এখনও বুঝে উঠিনি, দায়িত্ব নিলে চারদিকে তাকিয়ে বুঝব আসলে চ্যালেঞ্জ আছে কি না? এরপর সেই চ্যালেঞ্জগুলোকে কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সে লক্ষ্যে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, কর্মপন্থা নেব, কৌশল নিরূপণ করব।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, একটা ভালো নির্বাচন করার দায়িত্ব শুধু ইসির নয়। নির্বাচন কমিশন একা নির্বাচন করে না। নির্বাচন একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত। সবাইকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে। কমিশনও সবার সহযোগিতা আদায় করে নেবে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী, আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমি যে সহকর্মী পেয়েছি তাদের ওপর আমার আস্থা আছে। আমার ওপর তাদের আস্থা আছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
নতুন সিইসি আরও বলেন, আমরা সমন্বিতভাবে সহকর্মীদের সঙ্গে বসে ঐকমত্য পোষণ করে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা আশা করি, সবার সহায়তা নিয়ে যারা স্টেকহোল্ডার তাদের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এগোব। আমরা মাত্র শপথ নিয়েছি। সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ নিয়েই আমাদের দায়িত্ব আরোপিত হয়ে গেছে। বাস্তব দায়িত্ব কর্মস্থলে গ্রহণ করিনি। আগামীকাল (সোমবার) যাব, আমরা সহকর্মীরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করব। ভাবের আদান-প্রদান করব। সংবিধানে, আইনে আমাদের কী কী দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে, সেগুলো জানব।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এবারই প্রথম বারের মতো আইন প্রণয়নের পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি। নির্বাচন কমিশন শপথ নেওয়ার পর যেদিন প্রথম অফিস শুরু করেন, সেদিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর তাদের দায়িত্বকাল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়।
এফআইটি/সিএন

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন