ঢাকা: অভিনেতা, কথাসাহিত্যিক ও কবি এবিএম সোহেল রশিদ শিল্প-সংস্কৃতির প্রায় সব কয়টি পথেই স্বাচ্ছন্দ্য পাদচারণা করছেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের বেদিমূলে আত্মোৎসর্গকৃত সূর্যসন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবী এবিএম আবদুর রহিম ও মা কারুশিল্পী মিসেস ঝরনা রহীমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনিই বড়। ১৯৬৫ সালের ২৩ ঢাকার আজিমপুর মেটারনিটি হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হলেও পৈত্রিক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসুদেব ইউনিয়নের তিতাসনদীর পাড়ে ঘাটিয়ারা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মোল্লাবাড়ি পরিবারে।
মধ্যবিত্ত টানাপোড়নে ঢাকায় নাগরিক বলয়ে বেড়ে উঠার কারণেই তার লেখনীতে নগর যন্ত্রণার গৌরব-সৌকর্যের পাশাপাশি প্রেম-বিচ্ছেদ-বিরহ এসেছে ষড়ঋতুর মতই নানা রঙে ও বহুমাত্রিক আঙ্গিকে। লেখকের দৃষ্টির সীমানায় সময়নদীর স্রোতে বিরহ ও রং বদলেছে বার বার। দুঃখ মেঘে জমানো খুনসুটি ও কষ্ট সমুদ্রের নানা অনুষঙ্গ, দেশপ্রেম, কাব্যরসের বিচ্ছুরণে শৈল্পিক উচ্চারণের সাহস দেখিয়েছেন কবি এবিএম সোহেল রশিদ।
অভিনয়ই তার পেশা। সাড়ে ৪০০’র অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বেশ কয়েকটি পশ্চিম বাংলার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। নাটক করেছেন হাজারেরও বেশি। বিটিভিতে চলচ্চিত্র বিষয়ক পাক্ষিক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ঝিলমিল’ গ্রন্থনা ও সঞ্চালনা করেছেন ১১০ পর্ব। গান লিখেছেন শতাধিক। সুবির নন্দীর ১৩টি গানসহ মনির খান, সাদি মোহাম্মদ, ফেরদৌস আরা, পারভীন সুলতানা ও অনিমা ডি কষ্টাসহ অনেকেই তার রচিত গান গেয়েছেন। চার দশকেরও বেশি লেখালেখি করছেন প্রিন্ট, অনলাইন, ব্লগ, সংকলন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে।
ইতিমধ্যে সোহেল রশিদের দশটি একক কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ‘আগুন ঠোঁটের ঘ্রাণ’, ‘পাপড়িতে মাখামাখি বিকেলের রোদ’, ‘বিসর্জনের অহংকার’, সারথিকে আমি চিনি, মায়াবী জালে বাঁধা উঠোন, চোখের ভেতর অচেনা নদী, ‘প্রেম ও দ্রোহের কবিতা আগুনপথে একাই হাঁটি’, ‘জ্যোস্না রাতের উজানে’ ও , ‘বুকপকেটে ঘুমায় গন্তব্যের ঠিকানা’ ‘ডুবে চাঁদ অবাধ্য পুকুরে’ ও ‘শেষ অবধি সারথি ভালবেসে ছিল’ প্রকাশিত হয়েছে।
এ ছাড়া একটি কিশোর ক্লাসিক ভৌতিক উপন্যাস ‘পানামনগরে ভয়ঙ্কর রাত’ ও একটি উপন্যাস ‘পোড়ামুখির সোনার নোলক’ প্রকাশিত হয়েছে তার।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন