শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

শিশুদের কেন টাইফয়েড টিকা নেওয়া জরুরি

শুক্রবার, অক্টোবর ১৭, ২০২৫

প্রিন্ট করুন
শিশুদের

শিশুদের টাইফয়েড টিকা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। সালমোনেলা টাইফি নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে। এটি একটি মারাত্মক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এ রোগের জটিলতা ও মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই টাইফয়েড প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো টিকা গ্রহণ, পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি, নিরাপদ খাবার ও পরিচ্ছন্নতার নিশ্চয়তা।

শিশুদের শরীরে টাইফয়েড টিকা কীভাবে কাজ করে

টাইফয়েড টিকা শরীরে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলে। বর্তমানে দেশে শিশুদের জন্য টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) দেওয়া হচ্ছে। এটি মাংসপেশিতে ইনজেকশন হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। ব্যাকটেরিয়ার একটি অংশ ও ক্যারিয়ার প্রোটিন যুক্ত করে তৈরি এই আধুনিক সাব-ইউনিট টিকা শিশুদের মধ্যে আগের টিকার তুলনায় আরও শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দেয়।

টাইফয়েড টিকা নেওয়া কেন জরুরি

  • ১. টাইফয়েড জ্বর ও এর জটিলতা, যেমন অন্ত্রে ছিদ্র বা মস্তিষ্কের প্রদাহ, প্রতিরোধে টিকাটি কার্যকর।
  • ২. অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী টাইফয়েডের বিস্তার রোধে এটি সহায়ক।
  • ৩. বাংলাদেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোরদের মধ্যে টাইফয়েডের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়, তাই তাদের সুরক্ষায় টিকা অত্যন্ত প্রয়োজন।

দেশে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২০২৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। এতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোরকে বিনা মূল্যে এক ডোজ টিসিভি টিকা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃত ও সুপারিশকৃত এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর, এটি কোনো ট্রায়াল ভ্যাকসিন নয়।

এই টিকা মূলত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য প্রযোজ্য। ১৫ বছরের বেশি বয়সীরাও চিকিৎসকের পরামর্শে টিকা নিতে পারেন। তবে যাদের জ্বর (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি), টিকার প্রতি মারাত্মক অ্যালার্জির ইতিহাস, অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যদানকারী মা এবং ৯ মাসের কম বয়সী শিশুদের এই টিকা দেওয়া যাবে না।

টিকার নিরাপত্তা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অনেক অভিভাবক টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন, টাইফয়েড টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি শিশু ইতিমধ্যে এটি গ্রহণ করেছে। গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, এবং এটি শিশুর গর্ভকালীন বিকাশ বা ভবিষ্যৎ প্রজননক্ষমতায় কোনো প্রভাব ফেলে না। টিকা দেওয়ার পর সাধারণত হালকা ব্যথা, লালচে ভাব, ফুলে যাওয়া বা অল্প জ্বরের মতো সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যা অল্প সময়েই সেরে যায়।শিশুদের কেন টাইফয়েড টিকা নেওয়া জরুরি

সালমোনেলা টাইফি নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে। এটি একটি মারাত্মক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এ রোগের জটিলতা ও মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই টাইফয়েড প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো টিকা গ্রহণ, পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি, নিরাপদ খাবার ও পরিচ্ছন্নতার নিশ্চয়তা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন