বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরানো সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালের রায় প্রকাশ

সোমবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারের নিষেধাজ্ঞা ও বক্তব্য সরানো সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত রায় পাঠানো হয়েছে বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ দিকে, রোববার (০৮ ডিসেম্বর) তার দেয়া বক্তব্য বিদ্বেষমূলক কিনা খতিয়ে দেখে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানিয়েছে প্রসিকিউশন।

গেল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রসিকিউশন টিমের আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শেখ হাসিনার প্রচার হওয়া আগের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানো বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ও সরিয়ে ফেলার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের এ আদেশ পাঠানো হবে ফেসবুক, এক্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে।

গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারতে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সেই বক্তব্য আবার নিজেই ছড়িয়ে দিতে বলছেন। সেগুলো আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে।

সবশেষ ভারতের বসে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। সেই বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়।

প্রসিকিউশন বলছে, ‘শেখ হাসিনা যে সব হেইট স্পিচ দিচ্ছেন, তা বন্ধেই এ আবেদন।’

এ দিকে, জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করতে গত ১৮ নভেম্বর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

এর আগে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়। যা এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সিএন/আলী

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন