বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

শেষ ভাষণে যা বললেন বাইডেন

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ১৪, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রশাসনের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে চূড়ান্ত ভাষণ দিয়েছেন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তিনি এই ভাষণ দেন। মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার কয়েক দিন আগে ভাষণ দিলেন বাইডেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার প্রশাসনের পররাষ্ট্র নীতির পক্ষে বক্তব্য দেন বাইডেন। সংবাদ আল জাজিরার।

স্টেট ডিপার্টমেন্টে দেয়া ভাষণটি বাইডেনের চার বছরের দায়িত্বে থাকাকালীন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে মার্কিন নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার কেন্দ্রিক একটি বৈদেশিক নীতি অনুসরণ ও জোট গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে জানান।

বাইডেন তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আমরা একটি জটিল সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি। স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী যুগ শেষ। একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।’

‘এই চার বছরে, ‘আমরা এমন সংকটের মুখোমুখি হয়েছি যার পরীক্ষিত অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে। আমার মতে, আমরা শক্তিমত্তার সাথে সেই পরীক্ষাগুলো পার হয়ে এসেছি।’

তবে সমালোচকরা বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বাইডেনের প্রশাসনকে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত হরেছে। বিশেষ করে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে মার্কিন সমর্থন দেয়ায় বাইডেন প্রশাসন সমালোচিত হয়েছে সব সময়।

তবুও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার ভাষণে বলতে চেয়েছেন যে, হোয়াইট হাউসে তার প্রবেশের আগের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র এখন আরও শক্তিশালী ও তার শত্রুরা দুর্বল।

বাইডেন আরও বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দেবে। কিন্তু তবুও এটা স্পষ্ট যে আমার প্রশাসন পরবর্তী প্রশাসনের হাতে একটি শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাচ্ছে।’

‘আমরা তাদের জন্য এমন একটি আমেরিকা রেখে যাচ্ছি, যেখানে আরও অনেক নতুন বন্ধু ও শক্তিশালী জোট থাকবে। যার প্রতিপক্ষরা দুর্বল ও চাপের মধ্যে থাকবে। এমন একটি আমেরিকা যারা আবারও নেতৃত্ব দিচ্ছে, দেশগুলোকে একত্রিত করছে। এজেন্ডা নির্ধারণ করছে। আমাদের পরিকল্পনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে অন্যদের একত্রিত করছে।’

আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের মাত্র সাত দিন আগে বাইডেন তার ভাষণে এসব কথা বললেন।

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় বাইডেনের পররাষ্ট্র নীতির নিন্দা করেছিলেন। ডেমোক্র্যাটদের ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তোলার অনুমতি দিয়ে বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে দুর্বল করার অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

তবে সোমবার বাইডেন ভিন্ন এক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি যুক্তি দেন, তার নেতৃত্ব প্রতিযোগী বিশ্বশক্তি চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।

সিএন/আলী

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন