ম্যাচটা মিয়ামির জন্য বিশেষই ছিল। বিশ্বজয়ী রদ্রিগো দে পলের অভিষেক তো বটেই, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন লিওনেল মেসি। ফিরেই জাদু দেখালেন তিনি। শেষ মিনিটে তার অ্যাসিস্টেই তো নাটকীয় এক জয় তুলে নিল ইন্টার মিয়ামি।
লিগস কাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে আতলাসের মুখোমুখি হয়েছিল মিয়ামি। তাদের বিপক্ষে ২-১ গোলের দারুণ এক জয়ই তুলে নিয়েছে দলটা। বুধবার রাতে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল আসে মেসির পাস থেকেই।
এটা ছিল মেসির ফেরার ম্যাচ। আগের ম্যাচে অল-স্টার গেমে অংশ না নেওয়ায় মেসি ও তার সতীর্থ জর্দি আলবার এক ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল এমএলএস। ফিরেই দলের হয়ে আবারো নায়ক এই আর্জেন্টাইন।
খেলার ৯৬তম মিনিটে মেসির পাস থেকে গোল করেন মার্সেলো ওয়েইগান্ট। শুরুতে অফসাইড ধরা পড়লেও ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত বদলে যায় এবং গোলটি স্বীকৃতি পায়।
এর আগে ৫৮তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন তেলাসকো সেগোভিয়া, যেটিতে আবারও অ্যাসিস্ট ছিল মেসির। আতলাসের হয়ে ৮২তম মিনিটে সমতা ফেরান রিভালদো লোজানো। এরপরই মেসির শেষ মুহূর্তের ম্যাজিক এনে দেয় জয়।
এই নিয়ে জুলাই মাসে মেসির অ্যাসিস্ট দাঁড়াল পাঁচটিতে। তিনি গোল করেছেন আটটি। তার দল ইন্টার মিয়ামি এই মাসে এমএলএসে পাঁচটি ম্যাচে চারটি জয় এবং একটি ড্র করেছে। তাতে মাসের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন মেসি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেনি। মিয়ামির গোলরক্ষক রোকো রিয়োস নোভো প্রথমার্ধে তিনটি সেভ করেন। বিশেষ করে এদুয়ার্দো আগুইরেকে ঠেকানোর সেভটি ছিল চোখ ধাঁধানো। আর অর্ধের শেষ মুহূর্তে লুইস সুয়ারেজের শট লাগে ক্রসবারে।
এই ম্যাচেই ইন্টার মিয়ামির হয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডে পল। মেসির জাতীয় দলের এই সতীর্থ গত সপ্তাহে অফিসিয়ালি চুক্তিবদ্ধ হন ক্লাবটির সঙ্গে।
মেসি এই দলে আছেন, সে কারণেই যে মিয়ামিতে যোগ দিয়েছেন দে পল, তা আর বলতে। সেই তার মিয়ামি অভিষেকটা রাঙানোর কাজটা শেষমেশ নিজ কাঁধেই তুলে নেন মেসি। তার দারুণ দুই অ্যাসিস্টে নাটকীয় এক জয়ই পেয়ে যায় ফ্লোরিডার দলটা।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন