চলমান ডেস্ক: দেশের ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিকের জন্য একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন এবং সার্বজনীন পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে একটি কর্তৃপক্ষ স্থাপনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে আয়োজিত এক সভায় এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থবিভাগ কর্তৃক ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন’ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা অবলোকন করেন। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গত নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারিসহ সব ধরনের অনানুষ্ঠানিক খাতের ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য একটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়ন এবং কর্তৃপক্ষ গঠনের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে সার্বজনীন পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকার ছিল। সেটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। এজন্য আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার আলোকে প্রণীত কৌশলপত্রটির ওপর প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তেনের লক্ষ্যে জরুরিভিত্তিতে একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অর্থ বিভাগকে নির্দেশনাও দিয়েছেন।
এর আগে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সার্বজনীন পেনশনের একটি রূপরেখা তুলে ধরেন। ওই অর্থবছর থেকেই সরকার সার্বজনীন পেনশন চালু করতে চায় বলেও জানান তিনি। সার্বজনীন পেনশনব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরে আবদুল মুহিত বলেছিলেন, এই ব্যবস্থার আওতায় একজন কর্মজীবী প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দেবেন। তার নিয়োগকর্তা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানও তার জন্য পেনশন আকারে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করবেন। তার সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি অর্থ জমা করবে সরকারও। এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সার্বজনীন পেনশন তহবিলে অর্থ জমা হতে থাকবে। জমানো সেই চাঁদা ও আয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অবসর সময়ে মাসিক পেনশন হিসেবে পাবেন। তবে, এই ব্যবস্থার জন্য যে মৌলিক কাঠামোর দরকার, তা সময়সাপেক্ষ বিষয় বলে বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন