সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে কালুরঘাট রেলসেতুর

চট্টগ্রাম: কালুরঘাট রেলসেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সেতুর উচ্চতা চার দশমিক ছয় মিটার। নদীর নাব্যতা ও নৌ-যান চলাচলের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এটাকে এখন ১২ দশমিক দুই মিটার উচ্চতায় নির্মাণ করতে হবে। এ বিষয়ে কাজ চলছে।’

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওযে স্টেশন এলাকায় প্রস্তাবিত রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের জায়গা পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেল পথ মন্ত্রী বলেন, ‘সিআরবিতে হাসপাতাল হবে, কি হবে না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে রেলওয়ের আর কোন মতামত দেয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির আওতায় সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। ফলে এ বিষয়ে রেলওয়ে বা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কোন সিদ্ধান্ত দেয়ারও সুযোগ নেই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালের নির্মাণের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরুর পরপরই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। চট্টগ্রামের মন্ত্রী-সাংসদ ও নেতারা যদি সিআরবিতে হাসপাতাল না চান, তারা প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন। তারা না চাইলে প্রধানমন্ত্রীও চাইবেন না।’

‘চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সিআরবিতে বঙ্গমাতার নামে হাসপাতাল না করে উদ্যান করার প্রস্তাব তুলেছেন’- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এ পর্যায়ে আমাদের বিকল্প কোন প্রস্তাবনার সুযোগ নেই।’

‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রুটে রেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি কখন দেয়া হবে ?’-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে বেশিরভাগ সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকছে। ট্রেন চালানো যাচ্ছে না। অর্ধেক আসনে যাত্রী ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে একমাত্র ট্রেনই চলাচল করছে। আর কোন পরিবহন খাত এটি মানছে না। আমি চেষ্টা করছি, দ্রুত ওই রুটে নতুন ট্রেন দেয়ার। আমিও ছাত্র নেতা ছিলাম, তাই ছাত্রদের প্রতি ভালবাসা, টান আমার বেশি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেলমন্ত্রী চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের চলমান প্রকল্প ও কাজ তদারকি করতে যান। ফেরার পথে স্টেশনের বাইরে পার্কিংয়ে অবৈধ ট্রাক ও ময়লা আবর্জনা তার নজরে আসে। পরে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসে তিনি পার্কিংয়ের আয়-ব্যয়ের হিসেব জানতে চান। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় মন্ত্রী তাৎক্ষণিক বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শামস মো. তুষার ও স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরীকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন।

সিএন/এমএ