সিএন প্রতিবেদন: সস্তা ভারতীয় সুতা আমদানির কারণে দেশের টেক্সটাইল শিল্প বড় ধরনের সংকটে পড়েছে। স্থানীয় কারখানাগুলোর বিক্রি কমে গুদামগুলোতে অবিক্রিত সুতা জমে যাচ্ছে, বন্ধ হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক মিল।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) জানায়, ভারত গত তিন বছর ধরে তাদের টেক্সটাইল খাতে একের পর এক রপ্তানি প্রণোদনা দিচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রণোদনা কমিয়ে দিয়েছে। এতে ভারতীয় সুতা এখন প্রতি কেজিতে প্রায় ৩০ সেন্ট সস্তা, ফলে পোশাক কারখানাগুলো দেশীয় সুতার পরিবর্তে আমদানিনির্ভর হচ্ছে।
বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “ভারত সরকার স্থানীয় মিলগুলোকে বিভিন্ন ভর্তুকি দিচ্ছে, তাই তারা ডাম্পিং মূল্যে বাংলাদেশে সুতা বিক্রি করছে। আমরা এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি।”
বিটিএমএর তথ্যমতে, বিক্রি কমে যাওয়ায় দেশের ৫০টির বেশি স্পিনিং মিল আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু কারখানায় বিক্রি না হওয়া সুতায় গুদাম ভরে গেছে।
নারায়ণগঞ্জের নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ফজলে শামীম এহসান বলেন, “দেশীয় সুতার চেয়ে ভারতীয় সুতা আমদানিতে প্রতি কেজিতে ৩০ সেন্ট পর্যন্ত সাশ্রয় হয়। তাই এখন আমার ৯০ শতাংশ সুতা আসে ভারত থেকে।”
কারখানা মালিকেরা বলছেন, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও অবৈধভাবে আমদানিকৃত ফেব্রিকও বাজারে বিপুল পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে, যা স্থানীয় মিলগুলোর জন্য আরেকটি বড় বাধা।
উদ্যোক্তারা সতর্ক করে বলেছেন, সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে ২৩ বিলিয়ন ডলারের এই খাত মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে, যার প্রভাব পড়বে ব্যাংক, বীমা ও লজিস্টিকস খাতেও।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন