বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

শিরোনাম

সাতকানিয়া সমিতি ইউএসএ ইনকের বনভোজনে বর্ণিল আয়োজন

বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৪, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্কে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাতকানিয়া সমিতি ইউএসএ ইনকের ৫ম বার্ষিক বনভোজন। গত ২০ জুলাই লং আইল্যান্ডের সাগর,বীচ ও পাহাড় বেষ্টিত ‘সানকেন মেডো স্টেট পার্কে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এই আয়োজন। এদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই দিনব্যাপী আয়োজনে প্রবাসী সাতকানিয়াবাসীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অংশ নেন।

বনভোজন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় নানা ধরনের খেলাধুলা, শিশুদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম, র‍্যাফেল ড্র, পুরস্কার বিতরণ এবং প্রীতিভোজ। প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও অংশগ্রহণকারীদের সরব উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে রাঙিয়ে তোলে।

এদিন সকাল ৯টা থেকে নিউইয়র্কের ফাইভ বরো এবং আশে পাশের বিভিন্ন স্টেট থেকে প্রচুর সাতকানিয়াবাসী আগমণে সানকেন মেডো স্টেট পার্ক হয়ে উঠে যেন একখণ্ড সাতকানিয়া ।

সরজমিনে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় বনভোজন কমিটির আহ্বায়ক আহমেদ নবী চৌধুরী আগত সাতকানিয়ান ও অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে আয়োজনের উদ্বোধন করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোহাম্মদ এ জাফর। উপস্থিত সাতকানিয়ান,আগত অতিথি, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিভিন্ন ডোনারদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম।

বনভোজন আয়োজনের উপস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিন উল্লাহ এবং সাথে সংগঠনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোহাম্মদ এ জাফর। উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপদেষ্টা করিম রেজা ও সহ-সভাপতি জনাব আবদুস সালাম।

উপস্থিতিদের আরও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহামদ সফিউল্লাহ ও প্রধান সমন্নয়কারী মোহামদ মুসা। আগত অতিথি ও সাতকানিয়া সমিতির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ডোনার ডাক্তার আতাউল ওসমানী সাতকানিয়া সমিতির ভূয়সী প্রশংসা করে ও সাতকানিয়াবাসীসহ সকলের মঙ্গল কামনা করে সব সময় সাতকানিয়াবাসীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করে শুভেচছা বক্তব্য প্রদান করেন।

পরবর্তীতে আগত শিশুদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের খেলনা বিতরণের মাধ্যমে পিকনিকের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। শিশুদের মাঝে খেলনা বিতরণে ছিলেন সংগঠনের ক্ষুদে সদস্য জিনা , রায়সা ও আননিসা এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতা করে ফারজানা পুস্প।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলো বিশাল খাবারের আয়োজন। চা- নাশতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের ফল-ফলাদি পান-সুপারি কোন কিছুরই কমতি ছিল না। দুপুরের খাবার এসেছে ম্যানহাটনের বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট কারি ইন এ হারি রেস্টুরেন্ট থেকে। আয়োজন ছিল আট রকমের খেলাধুলা ও এর জন্য চব্বিশ রকমের পুরস্কারের ব্যবস্থা। উপস্থিত সকলে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ বেশ আনন্দ উপভোগ করেছেন।

ছিল চিরাচরিত লটারীর ব্যবস্থা। লটারীর জন্য ১৩টি পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিল। প্রথম পুরস্কার হিসাবে ছিল দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের নেকলেস। যার স্পনসর ছিলেন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিকনিক আয়োজক কমিটির আহবায়ক আহমেদ নবী চৌধুরী। আর এই নেকলেসের ভাগ্যবান বিজয়ী ছিলেন সুদূর পেনসেলভেনিয়া থেকে অংশগ্রহণকারী সমিতির জেনারেল মেম্বার ইয়াসমিন রুমি। লটারীর পর্ব শেষে পিকনিকের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ।

সুন্দর ও নির্মল আবহাওয়ায় পুরো দিনটি সাতকানিয়াবাসীর জন্য একটি স্মরণীয় দিন। সুন্দর এই আয়োজন করতে গিয়ে বনভোজন কমিটির সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। যার জন্য একটি সফল ও সার্থক পিকনিক আয়োজনে সক্ষম হয়েছে সাতকানিয়া সমিতি। এই সফল পিকনিকের আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে তাদের ত্যাগের মূল্যায়ন করে শেষ করা যাবে না।

এই আয়োজনের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম ছিলো আমিন উল্লাহ , মিসেস আমিনউল্লাহ, সামসুজজোহা (সোহেল), মো. রবি , মোহাম্মদ মুসা, ইসরাত মুসা, জিনা, রায়সা, আননিসা, লোকমান সিকদার, মিসেস লোকমান সিকদার, নুরুল আবছার চৌধুরী, মিসকাত রহমান, সালাহউদদীন ,আবদুল আউয়াল (মুননা ), শামিম রহমান, বাহারুল ইসলাম ( এজাজ), সাজ্জাদ হোসেন ( সাব্বির ), খোরশেদ আলম, নাসের চৌধুরী,বিধান চন্দ্র দে, আনোয়ারুল ইসলাম, সাহান উদ্দীন চৌধুরী, সাহেল জাওয়াদ, ইশরাক হাই (জিসান), মতিউর রোশনী, ফকরুল ইসলাম, ইরফান নিশাদ। ইরফান নিশাদ পুরো ৮টি গেইম পরিচালনা করেছে খুবই দক্ষতা ও সুচারুভাবে। কানেকটিকাট থেকে এসে সহযোগিতা করেছেন জিনাত আলম সুমি, আরিফ জেবায়ের ও শওকত চৌধুরী।

কমিটির পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ জানানো হয় সাতকানিয়া সমিতির বিশেষ শুভাকাঙ্ক্ষী সাহেদা বেগমকে। তিনি সবসময় সাতকানিয়া সমিতির পাশে থাকেন এবার ও অভাবনীয় সহযোগিতা করেছেন। আরও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হয় সাতকানিয়ার জামাই মতিউর চৌধুরীকে। যিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লটারী বিক্রিতে সহযোগিতা করেছেন। আরও ধন্যবাদ জানানো হয় সাতকানিয়ার আর এক জামাই ইমরানকে।

সেইসাথে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় সকল স্পনসর ও ডোনারদের। যারা পিকনিকে আর্থিক ও বিভিন্ন উপহার দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। সবশেষে আগামী বৎসর ও সবাইকে সাতকানিয়া সমিতির পাশে পাবার আশাবাদ ব্যক্ত করে সবার সু-স্বাস্থ্য কামনা করে বনভোজন শেষ হয়।—বিজ্ঞপ্তি

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন