চলমান ডেস্ক: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছেই। একইসঙ্গে বাড়ছে তীরবর্তী এলাকার নদীভাঙন। ভাঙন ও পানি বৃদ্ধির ফলে অবনতি হচ্ছে জেলার বন্যা পরিস্থিতির। বন্যা ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক আবদুল লতিফ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি আট সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ রোববার সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি।
পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যমুনা নদীর তীরবর্তী জেলার চৌহালী ও এনায়েতপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। একদিনের ভাঙনে চৌহালী উপজেলার খাসপুকুরিয়া থেকে বাগুটিয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটারব্যাপী এলাকার বিনানই, চরসলিমাবাদ ও এনায়েতপুরের ব্রাক্ষণগ্রামের অন্তত ২০টি বসতভিটাসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙন কবলিত এলাকায় ঘরবাড়ি, গাছপালা সরিয়ে নিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তরা। ভাঙনরোধে কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সব হারানো মানুষেরা।
বন্যা কবলিত হয়ে পড়া জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এ সব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে রয়েছেন দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত ও বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজিবাগানসহ বিভিন্ন ফসল।
বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সহায়তা বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যেই বন্যা কবলিত জেলার সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য ১০০ টন চাল ও পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুর রহিম।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন