আবু জাফর: ‘কর্মে নিষ্ঠায় আমরা আলোর সন্তান’ প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে শুরু হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীর চর্চার সংগঠন ” সুপ্রভাত”। জীবনের নানা প্রয়োজন নানা সময় গড়ে উঠে বহু সংগঠন। এই সংগঠন গুলোর কিছু রাজনৈতিক কিছু সামাজিক কিছু অর্থনৈতিক আর কিছু আছে আত্ম উন্নয়নমূলক।
কর্পোরেট সমাজ ব্যবস্থায় ব্যক্তি স্বার্থে যতগুলো সামাজিক বা অর্থনৈতিক সংগঠন গড়ে উঠে ততগুলো আত্ম উন্নয়নমূলক সংগঠন কখোন গড়ে উঠেনা। তবুও সমাজের আনাচে-কানাচে ছিটে-ফোটার মত থাকে কিছু আত্ম উন্নয়নমূলক সংগঠন যেগুলোর তাৎক্ষণিক উপকার না পেয়ে অনেকেই অবহেলা করে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি আত্ম উন্নয়নমূলক সংগঠন রয়েছে তাদের অন্যতম হল “সুপ্রভাত”।
সুপ্রভাতের একনিষ্ঠ সদ্যস্য লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ আকন্দ বলেন, “সুপ্রভাত ” এমন একটি সংগঠন যেখান থেকে দিনটা শুরু করতে পারলে আর পিছনে তাকাতে হয়না, সারাদিন প্রফুল্ল মনে সব কাজ করতে পারা যায়। সুপ্রভাতের মেডিটেশন পর্বে যে মনোছবি আকাঁ হয় এই অনুযায়ী আমরা সারদিন চলতে চেষ্টা করি। দেখা যায় সকালের অল্প সময় ব্যায়ামের মাধ্যমে সারাদিনের একটা শক্তি অর্জন হয়। আমাদের মস্তিষ্ক পায় পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ অক্সিজেন।
সুপ্রভাতের প্রতিষ্ঠাতা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আরকিওলজি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান শাহাদাত হোসেন সৌরভ স্যার বলেন ” পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ সংগঠন আলাদা বৈচিত্র্য নিয়ে এসেছে। ভোর সকালের মৃদু হাওয়ার তালে ব্যায়াম করতে থাকে একদল শিক্ষার্থী। সূর্য যখন পূব আকাশে উঁকি মারা শুরু করে তখনই শেষ হয় ব্যায়ামের অধ্যায়। তারপর শুরু করে তারা মেডিটেশন পর্ব। এক একদিন আমি এক এক জনকে মেডিটেশনের টপিক বলতে বলি, তাদের চিন্তা-ভাবনায় আসে বৈচিত্র্য। মূ্লত এ সংগঠনের মাধ্যমে আমি শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি। তাদের অভিরুচি সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা আসে এ সংগঠনের মাধ্যমে।
সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদ্যস্য বাংলা বিভাগের ম্যাম নাহিদা নাহিদ বলেন ” কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সংগঠন “সুপ্রভাতে” আমি প্রথম থেকেই যুক্ত আছি। এ সংগঠনের ভোর সকালের ব্যায়াম, মেডিটেশন সহ সবকিছু আমাকে বিমুগ্ধ করে। আমি মাঝেমধ্যে আমার স্বামী-পুত্র নিয়েও এখানে আসি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সংগঠন আরো হওয়া দরকার।
এক সময় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসলেও দীর্ঘ করোকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারনে”সুপ্রভাতে” এখন আগের মত শিক্ষার্থীদের আনাগোনা চোখে পরে না। তবুও আদার মত ঝাঁজটা এখনও বিদ্যমান। ভোর সকালে যে কেউ কে
লেখক: শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন