সিএন প্রতিবেদন: কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত পুনরায় চালুর প্রথম দিনেও কোনো জাহাজ রওনা হয়নি। শনিবার (১ নভেম্বর) নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে ছয়টি জাহাজ প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও পর্যটকেরা দ্বীপে যাত্রা করতে আগ্রহ দেখাননি।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাতযাপন নিষিদ্ধ, নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং অনলাইনে টিকিট সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা পর্যটকদের আগ্রহ কমিয়েছে।
ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, “সকালে গিয়ে বিকেলেই ফিরতে হবে, তাই ঝামেলায় যাইনি। কক্সবাজার ঘুরেই বাড়ি ফিরব।”
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সত্ত্বেও আইনগত কারণে ইনানী ঘাট থেকে জাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ। নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন ছয়টি জাহাজে সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক যাতায়াত করতে পারবেন। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সীমিতভাবে রাতযাপন, ফেব্রুয়ারিতে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
দ্বীপের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় অনলাইনে টিকিট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া পলিথিন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, মোটরযান, সি-বাইক, বারবিকিউ এবং প্রবাল-শামুকের ক্ষতি নিষিদ্ধ।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “দ্বীপটিকে স্থানীয় জনগণকেন্দ্রিক পর্যটনকেন্দ্রে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ চলছে। কিছু নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য ছিল।”
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, যৌথ কমিটি পর্যটক নিবন্ধন ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তদারকি করবে। তবে পর্যটন ব্যবসায়ীরা সরকারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্কোয়াব সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, “ছয়টি জাহাজ প্রস্তুত, কিন্তু পর্যটকের সংখ্যা কম থাকায় যাত্রা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।”
হোটেল মালিক আবদুল মালেকও বলেন, “সকাল-বিকেল সময়সূচিতে পর্যটকরা দ্বীপে উপভোগ করতে পারছে না। সরকার যদি নীতি পরিবর্তন না করে, দ্বীপবাসীর জীবিকা বিপন্ন হবে।”
পর্যটন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিবেশ সুরক্ষা এবং পর্যটক চাহিদার ভারসাম্য আনা গেলে সেন্টমার্টিন আবার দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।



চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন