শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

শিরোনাম

স্থানীয় সরকারকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্ব ব্যাংক

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: প্রায় চার কোটি মানুষের কল্যাণে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ভবিষ্যত মহামারী মোকাবেলায় প্রস্তুতির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোরদার করতে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাংক। স্থানীয় সরকার কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট মহামারীতে কার্যকরভাবে সাড়া দিতে ও মহামারী থেকে কাটিয়ে ওঠতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দেয়া হবে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মোট ৩২৯টি পৌরসভা ও দশটি সিটি করপোরেশন প্রকল্প থেকে দ্বি-বার্ষিক ভিত্তিতে অর্থ পাবে। এ প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ নগর সেবাদান স্থাপনা ও অবকাঠামো, স্থানীয় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ু প্রভাব, দুর্যোগ ও ভবিষ্যতের রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার প্রস্তুতি ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হবে।

প্রকল্পটি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজে নিয়োজিত ও করোনা বিধিনিষেধ ও লকডাউন আরোপের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও দুস্থ লোকেদের জীবিকা পুনরুদ্ধার করতে শ্রমঘন গণপূর্ত কাজে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের দায়িত্বে নিয়োজিত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেছেন, ‘করোনা মহামারি শহরাঞ্চলের দরিদ্র জনগণকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে, আয়ের ক্ষতি করেছে ও মৌলিক পরিষেবা ব্যাহত করেছে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো মহামারির প্রভাব কাটিয়ে ওঠতে শহুরে দরিদ্রদের সহায়তার পাশাপাশি শহরগুলোকে ভবিষ্যতের ধাক্কা সামলানোর জন্য প্রস্তুত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ প্রকল্পটি সিটি করপোরেশন ও শহরগুলোকে আরো ভালভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে ও মহামারির প্রভাব কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ও রোগের প্রাদুর্ভাবসহ ভবিষ্যতের দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করবে।’

প্রকল্পের অর্থে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠনগুলো কমিউনিটি হাত ধোয়ার স্থান ও টয়লেট স্থাপন করবে ও পৌরসভার মালিকানাধীন বা পরিচালিত বাজার, কবরস্থান ও পাবলিক অফিসে স্যানিটাইজেশন উন্নত করবে।

প্রকল্পটি বাসিন্দাদের পৌরসভা-চালিত স্বাস্থ্য ক্লিনিকগুলোতে আরো ভাল সুফল পেতে ও সুবিধাবঞ্চিত লোকদের জন্য টিকা নিবন্ধন সহজতর করতে ও করোনা স্বাস্থ্যবিধি, টিকা ও জলবায়ু ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।

এ প্রকল্প পাবলিক ওয়ার্ক স্কিমের অধীনে দশ হাজার মহিলার জন্য এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন দিবস অস্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি করবে। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে জলবায়ু প্রভাব, দুর্যোগ ও ভবিষ্যতে রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য প্রস্তুতি উন্নত করতে সহায়তা করবে।

বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র আরবান ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট ও প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার শেনহুয়া ওয়াং বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে শহুরে দরিদ্রদের সংখ্যা ২৭ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রকল্পটি শ্রমঘন গণপূর্ত কাজ ও কর্মসূচি ও রক্ষণাবেক্ষণ স্কিম পরিচালনা করবে, যা এক দিকে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, নিষ্কাশন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো নিম্ন আয়ের অঞ্চল, বস্তি ও রোগের প্রাদুর্ভাব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও দুর্যোগের ঝুঁকির সম্মুখীন এলাকাগুলোতে পৌঁছে দেবে এবং অন্য দিকে দরিদ্র শহুরে মানুষের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করবে।’

প্রকল্পটি প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে ও জরুরি পরিস্থিতিতে আরো ভাল সমন্বয় ও তথ্য বিনিময়ের জন্য একটি ওয়েব-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করবে। বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট- এ আটটি বিভাগেই এটি বাস্তবায়িত হবে।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন